Panchayat Election 2023: ভোটের আগেই মৃত্যু তৃণমূল প্রার্থীর, স্থগিত পঞ্চায়েত নির্বাচন
এবার বড়বেলুন ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৯৬ নম্বর সংসদ থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে সিপিএমের এক প্রার্থী ছিলেন। গোলাম মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, এক মেয়ে ও বিধবা মা। সোমবার মৃতের বাড়িতে যান ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
অরূপ লাহা: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর মৃত্যু হল ভোটের আগে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রের বড়বেলুন ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তাফা মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায় রবিবার রাত প্রায় দুটো নাগাদ তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। বুকে যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবারের লোকজন স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এবার বড়বেলুন ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৯৬ নম্বর সংসদ থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে সিপিএমের এক প্রার্থী ছিলেন। গোলাম মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, এক মেয়ে ও বিধবা মা।
আরও পড়ুন: Bardhaman: চিড়িয়াখানা থেকে বেরিয়ে পড়েছে বাঘ! লাঠি হাতে বের হলেন অনেকে, তোলপাড় বর্ধমান
সোমবার মৃতের বাড়িতে যান ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। পাশাপাশি সিপিএমের প্রার্থী গফুর মোল্লাও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়ে আসেন। বিধায়ক বলেন, ’আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন শান্ত। আমরা ওর পরিবারের পাশে আছি।‘ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ওই আসনে নির্বাচন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হবে।
জোড়া ফুলের প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন। নিজের হাতেই একাধিক দেওয়ালে চুনও দিয়েছিলেন দেওয়াল লেখার জন্য।
আরও পড়ুন: Narendrapur: ক্যান্সারের চিকিৎসার টাকা জোগাড়েই ডাকাতির ছক! ধৃত গাড়ি চালক
ভাতার ব্লকের বড়বেলুন ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৬ নম্বর বুথের ৬/৭ সংসদে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন গোলাম মোস্তফা মোল্লা ওরফে শান্ত। জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী ছিলেন তিনি।
রবিবার দিনভর জনসংযোগ সেরে যথাসময়ে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে গিয়েছিলেন গোলাম মোস্তফা। গভীর রাত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। মৃতের মা ফিরোজা বেগম বলেন, গতরাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে তাঁর ছেলে ঘুমাতে গিয়েছিল। গভীর রাতে বৌমার চিৎকার শুনে বেরিয়ে এসে দেখেন তাঁর ছেলের দেহে আর প্রাণ নেই। সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় ডাক্তারবাবু তাঁর ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।