নিজস্ব প্রতিবেদন: হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তুলে ধরে এবার মুখ্যসচিবকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ ভোটের জন্য চিঠি দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্দিষ্ট অংশ উল্লেখ করেছেন কমিশনার। যেখানে বলা আছে, যে কোনও গণতান্ত্রিক  নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে  শুদ্ধতা থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং ফাংশানারি যেন সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার দিকে নজর দেয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের একটি রায়েরও নির্দিষ্ট একটি অংশ উল্লেখ করেছেন কমিশনার যেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে অবাধ ,শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ করার জন্য সবদিক থেকে রাজ্য সরকার এবং ইলেকশন কমিশন যথাযথ প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের গাড়ি ব্যবহার নিয়ে কড়া হয়েছে কমিশন। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ১টি মাত্র দ্বিচক্র যান ব্যবহার করতে পারবেন অথবা ১টি মাত্র থ্রি হুইলার ব্যবহার করতে পারবেন।পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। জেলা পরিষদের প্রার্থী শুধুমাত্র ১টি চার চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌছে গেছে ভিন রাজ্য থেকে আসা আঠারেশো সশস্ত্র পুলিসকর্মী। ভোটারদের মনে ভরসা জোগাতে এলাকায় এলাকায় শুরু হয়েছে রুটমার্চ।


পঞ্চায়েত ভোটের দিন মোট আটান্ন হাজার আটশো জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ছেচল্লিশ হাজার রাজ্য পুলিসকর্মী।বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন থাকছে ন হাজার রাজ্য পুলিসকর্মী। কারা, আবগারি ও বনদফতর মিলিয়ে আরও দু হাজার সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী থাকছেন। এছাড়াও হোমগার্ড, এনভিএফ মিলিয়ে একষট্টি হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকছে আশি হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার। 


ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে ৪ রাজ্য থেকে ১৮০০ সশস্ত্র পুলিসকর্মী এসেছেন।সিকিম থেকে এরাজ্যে এসেছে ৪০০ সশস্ত্র পুলিসকর্মী। তেলেঙ্গানা থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ২০০ সশস্ত্র পুলিসকর্মী। ২০০ সশস্ত্র পুলিসকর্মী এসেছেন ওড়িশা থেকে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ভোটের নিরাপত্তায় রাজ্যে এসেছে ১০০০ জন সশস্ত্র পুলিস। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা সশস্ত্র বাহিনীর একটা বড় অংশ মোতায়েন হবে জঙ্গলমহলে।


আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে বেআইনিভাবে অর্থ ব্যবহারের অভিযোগে ধৃত মুকুলের ছায়াসঙ্গী