নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। রিষড়াকাণ্ডে হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রিপোর্ট পাওয়ার পই এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আপাতত অভিযুক্তের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের চাপে পড়ে জিএস পদ থেকে পদত্যাগ করলেন অভিযুক্ত সাহিদ হাসান খান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কলেজের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইত, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিধান কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রীর


রিষড়া বিধান কলেজে ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মারধরের পাশাপাশি শ্লীলতাহানি করেন অভিযুক্ত জিএস সাহিদ হাসান খান। গোটা ঘটনাটিই ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। এত কিছুর পরেও অভিযুক্তের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিস হাত গুটিয়ে বসে ছিল বলে অভিযোগ। গত ৪ জানুয়ারির এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। অভিযুক্তের বাবা রিষড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রধান হওয়ায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: 'মারধর, শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত', ইউনিয়ন রুমে 'শ্লীলতাহানি', অভিযুক্ত টিএমসিপি-র জিএস


এদিকে পর্দা ফাঁস হয় কলেজের অধ্যক্ষেরও। ফোনে বিধান কলেজের অধ্যক্ষ রমেশ কর ২৪ ঘণ্টার কাছে দাবি করেন,  ‘কলেজে যে এতকিছু ঘটেছে, তা আমি জানি না।‘ অপর প্রান্তে ছিলেন নিগৃহীতা ছাত্রী অধ্যক্ষের অধিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনি তো সব জানেন। আপনাকে আমিই তো জানিয়েছিলাম সব।‘ তারপরই কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যান অধ্যক্ষ। ২৪ ঘণ্টায় খবর সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল দল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির কাছে রিপোর্ট তলব করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন।