`পৌষমেলা একটা আবেগ`, সবার সঙ্গে কথা বলে মেলা চালু রাখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
প্রতি বছর শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন (৭ পৌষ) পৌষমেলার আয়োজন করে বিশ্বভারতী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বভারতী আয়োজনের দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায়, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা ঘিরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অন্ধকারে পৌষমেলার ভবিষ্যত। বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জমা হয়েছে শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী সহ এই মেলাপ্রেমী বহু মানুষের মনে। এই পরিস্থিতিতে আসরে নামলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। পৌষমেলার হয়ে ব্যাট ধরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "পৌষমেলা বন্ধ হোক, চাই না। আমি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। পৌষমেলা একটা আবেগ। প্রয়োজনে সবার সঙ্গে কথা বলব। সবাই মিলে বসব।" পৌষমেলার আয়োজন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হওয়ায় আশার মুখ দেখছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, দূষণ ও আরও নানাবিধ কারণে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা আয়োজনে ফি বছর নাভিশ্বাস উঠছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। শেষমেশ চলতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার আর পৌষমেলার আয়োজন করবে না তারা। উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী সহ বিশ্বভারতীর সমস্ত আধিকারিক ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা বৈঠকে বসে সর্বসম্মতিতে পৌষমেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্বভারতীর এহেন সিদ্ধান্তের জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় শতাব্দীপ্রাচীন পৌষমেলার ভবিষ্যত্।
আরও পড়ুন, ছুটি মেলেনি, ফেসবুক লাইভে 'সারপ্রাইজ ষষ্ঠী' জামাইয়ের, চমক দিলেন শাশুড়িও
বিশ্বভারতী আয়োজন না করলে পৌষমেলার আয়োজন প্রায় অসম্ভব। ফলে এককথায় চলতি বছর থেকে পৌষমেলা বন্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সব মহলে। বিশ্বভারতীর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় ব্যবসার একটা বড় অংশ নির্ভর করে পৌষ মেলার ওপর। তাই মেলা বন্ধ হলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন (৭ পৌষ) পৌষমেলার আয়োজন করে বিশ্বভারতী। আগে পৌষমেলায় হাতে তৈরি বিবিধ পণ্য নিয়ে সামিল হতেন স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দারা-ই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে মেলা। যার ফলে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। যে জন্য প্রতি বছর আদালতকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।