নিজস্ব প্রতিবেদন: বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার খরচ বাড়ছিল হুহু করে, প্রয়োজন ছিল উন্নত চিকিত্সারও। চিকিত্সকদের পরামর্শে তাই রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন রোগীর আত্মীয়রা। আর তাতেই বিপত্তি। মাঝরাস্তায় খারাপ হয়ে গেল অ্যাম্বুল্যান্স। পথেই মৃত্যু হল শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীর। এর জেরে ভাঙচুর করা হল অ্যাম্বুল্যান্স। মঙ্গলবার বর্ধমানের ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাফালের থেকেও উন্নত যুদ্ধবিমান তৈরি হবে দেশেই, কাজ শুরু করে দিল ভারত


বর্ধমানের সাতগেছিয়ার স্বপন দাসকে(৪৫) শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে এনএইচ-২ ধারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর আত্মীয়রা।  ১ অক্টোবর ওই হাসপাতালে ভর্তির পর খরচ বাড়তে থাকে হুহু করে। এরকম এক অবস্থায় রোগীকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। সেইমতো মঙ্গলবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বামচাঁদাইপুরের একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে আনানো হয় একটি ভেন্টিলেটার যুক্ত অ্যাম্বুল্য়ান্স।


রোগীর পরিবারের অভিযোগ, রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার আগে তার ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়। ব্যাটারি বদল করে ছাড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরই তা খারাপ হয়ে যায়। কাজ বন্ধ করে দেয় ভেন্টিলেটর। এর মধ্যেই মারা যান রোগী। অভিযোগ অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর।


আরও পড়ুন-পুজোর আগে বাড়ল উদ্বেগ, একদিনে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড রাজ্যে


রোগীর এক আত্মীয় বলেন, সামান্য দূরত্ব যাওয়ার জন্য কুড়ি হাজার টাকা ভাড়া দিই। তারপরেও এই ঘটনা। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়!


এদিকে, অ্য়াম্বুল্যান্সের টেকনিশিয়ান শেখর দে জানান, অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ হলেও ভেন্টিলেটর চালু ছিল। অন্যদিকে, গাড়ির চালকের দাবি, বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা হলেও রোগীর আত্মীয়রা তাতে রাজি হননি। ওই গাড়িতে ভেন্টিলেটর সিফট করা সম্ভব ছিল।