নিজস্ব প্রতিবেদন: চিকিৎসার করাতে গিয়েও রেহাই নেই! নার্সিংহোমে এবার গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাত-পা বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল। হাতে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে, এক পায়ে দগদগে ঘা! আপাতত অন্য নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ওই ব্যক্তির আবার করোনা সংক্রমণও ধরা পড়েছে। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে হুগলির চন্দননগরে। সুবিচারের আশায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছেন স্ত্রী। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুগলির চুঁচুড়ার তোলাফটক এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব শোভন সাধুখাঁ। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন তিনি। পেটের ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে চন্দনগরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়ার রীতিমাফিক রোগীর করোনা পরীক্ষা করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর আইইউসিতে রেখে ওই ব্য়ক্তির চিকিৎসা চলে বেশ কয়েকদিন। কিন্তু ততদিনে নার্সিংহোমের বিল কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে শোভনকে চুঁচুড়ার একটি নার্সিংহোম স্থানান্তরিত করেন পরিবারের লোকেরা। সেখানে যখন ফের করোনা টেস্ট করা হয়, তখন রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচূড়ারই অজন্তা সেবাসদন নামে একটি করোনা হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন! ফাঁকা মাঠে মিলল যুবতীর নিথর দেহ, গ্রেফতার 'প্রাক্তন' স্বামী


জানা গিয়েছে, করোনা হাসপাতালে পোশাক পরিবর্তনের সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরে পড়ে, শোভনের একটি হাতে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। পায়েও দগদগে ঘা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী নিজেই জানিয়েছেন. চন্দনগরে যে নার্সিংহোমে প্রথমে ভর্তি ছিলেন, সেখানেই নাকি হাত-পা বেঁধে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু কেন? শোভন সাধুখাঁর দাবি, তিনি পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। তাই হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছিল! বারবার বলা সত্ত্বেও কর্ণপাত করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।