Tathagata Roy: `গোলামি করার পাত্র নই`, তথাগতর টুইট খোঁচার পাল্টা বাবুল সুপ্রিয়র
রাজ্য রাজনীতিতে বড় চমক গিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: টুইট করে বাবুল সুপ্রিয়কে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। অবশ্য তিনি বাবুলের নাম করেননি। পাল্টা দিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়ও।
তথাগত তাঁর টুইটে নাম না করে বাবুলের উদ্দেশ্য লিখেছেন, 'আমার একটু দুঃখই হচ্ছে। ছেলেটাকে আমি ভালোবাসতাম। ওর বাড়িতে গিয়েছি। খেয়েছি। ওর বাবার সঙ্গে গল্প করেছি। একটা জিনিস প্রমাণ হয়, রাজনীতিতে ধৈর্য হারালে পতন হবেই। বোকাটা যদি আমাকে একবার জিজ্ঞাসা করত!' বাবুলের জবাবের পর তথাগত ফের টুইট করেছেন, 'বাবুল সুপ্রিয় আমাকে যা তা গালাগালি দিচ্ছে! বলুন তো আমার কী দোষ?'
এদিকে, তথাগতর ওই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। সংবাদমাধ্যমে বাবুল বলেন, 'দিদি আমাকে রাজনীতি ছেড়ে বাংলার জন্য কাজ করতে বলেছেন। সেইজন্যই তৃণমূলে এসেছি। এইবার আমি যেটা দেখাব সেটা হল ধৈর্য। যদি ওখানে ধৈর্য দেখাতাম তাহলে সেটা গোলামি হত। অন্য কারও গোলামি বা আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কোনও বড় বাংলো আঁকড়ে কাজ করার পাত্র আমি নই। কোনও দিন করিনি। আজও করব না। উপরতলার নেতার বাড়িতে গিয়ে তুমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য তদবির করতে। সেইসব নেতাদের সঙ্গেই বসে আইসক্রিম, আম, রসমালাই খেতে খেতে বলে এসেছি আপনারা আমার প্রতি অন্যায় করেছেন। তাই আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়েছি। আপানাদের সঙ্গে কাজও করব না। আপনাদের পার্টিতেও থাকব না। তাতে যদি আমার বাড়িতে সিবিআই, ইডি রেড হয় তো হবে।'
আরও পড়ুন- 'অভিষেকের ইস্তফার হুমকির পর দলের সব পদ অবলুপ্ত করেছেন মমতা', টুইটে খোঁচা বিজেপি নেতার
উল্লেখ্য, আসানসোলে জিতে বিজেপি সাংসদ হওয়ার পর দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন বাবুল সুপ্রিয়। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের চাপা সংঘাত তৈরি হয়। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিলভার রদবদলের পর। মন্ত্রিত্ব চলে যায় বাবুল সুপ্রিয়র। গত ৩১ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজনীতিকে 'আলবিদা' জানান বাবুল। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে বড় চমক গিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ওব্রায়েনের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ। তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বাবুল বলেছিলেন, ‘ঘনিষ্ঠরা বলেছেন রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করা ঠিক হয়নি। বাংলার জন্য কিছু করার জন্যই ফের রাজনীতিতে ফেরা।’