Elephant In Sankrail: হাতি সামলান; ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাঁকরাইলে লাগাতার অবরোধ চাষিদের
সাঁকরাইল ব্লকের গড়ধরা, পাথরপাড়া, দক্ষিণদাঁড়িয়া, কিসমত রামানন্দপুর সহ কয়েকটি গ্রামে চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে শীতকালীন কপি, বেগুন-সহ বিভিন্ন সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হাতির দল
সৌরভ চৌধুরী: দিনের দিন চাষের জমিতে তাণ্ডব করে চলেছে হাতির দল। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর। এনিয়ে এবার রাস্তায় নামলেন এলাকার চাষিরা। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিকে সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় রাস্তায় বাঁশ পুঁতে রাস্তা অবরোধ করলেন মানুষজন। রাস্তা আটকানোর ফলে দাঁড়ায়ে পড়ে যাত্রীবাহী বাড়ি-সহ বহু যানবাহন। রবিবার সকাল ছটা থেকে শুরু হয়েছে ওই বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন- ৫০০ নয়, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২ হাজার টাকা দেবে, জানালেন সুকান্ত
শনিবার রাত্রি নটা নাগাদ নয়াগ্রাম থেকে সুবার্নরেখা নদী পেরিয়ে প্রায় ২৫-৩০ টি দাঁতাল হাতি সাঁকরাইল ব্লকের গড়ধরা, পাথরপাড়া, দক্ষিণদাঁড়িয়া, কিসমত রামানন্দপুর সহ কয়েকটি গ্রামে চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে শীতকালীন কপি, বেগুন-সহ বিভিন্ন সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হাতির দল। সেই সঙ্গে মাঠে থাকা পাকা ধান চাষেরও প্রচুর ক্ষতি করেছে হাতির দলটি। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে শনিবার রাতে ওই গ্রাম গুলির চাষের জমিতে গিয়ে তান্ডব চালায় হাতির দলটি।
বন দফতরকে জানানো সত্বেও ঘটনাস্থলে কেউ না আসায় বন দফতরের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। ওই এলাকার বাসিন্দা তুফান পাত্র ও প্রবীর ঘোষ বলেন, যেভাবে হাতির দল ফসলের ক্ষতি করেছে তাতে আমরা সবাই সর্বশ্রান্ত হয়ে পড়েছি। বন দফতরকে জানানো সত্বেও এর আগে হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতিপূরণ আমরা পাইনি। কিন্তু শনিবার রাতে যেভাবে হাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের ক্ষতি করেছে তাতে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। তাই হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি পূরণের দাবিতে রবিবার সকাল ছয় টা থেকে কিসমত রামানন্দপুরে রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে বেরিকেট করে আমরা অবরোধ শুরু করেছে গ্রামবাসীরা। বনদফতরের আধিকারিকরা এসে লিখিতভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা অবরোধ তুলব, না হলে আমাদের অবরোধ লাগাতার চলবে।
পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে সাঁকরাইল থানার পুলিস। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এলাকায় পুলিস বোঝানোর তাদের চেষ্টা করছে। তবে অবরোধ না তোলার ব্যাপারে গ্রামবাসীরা।