সেচের খাল শুকনো; মাঠ ফুটিফাটা, প্রতিবাদে ধান জমিতে গবাদি পশু নামিয়ে দিলেন চাষিরা
এখন ধানে শস্য নেওয়ার সময়। এই সময় প্রচুর জলের প্রয়োজন। কিন্তু সেই জল মিলছে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃষ্টি নেই। সেচের খালেও জল নেই। প্রশাসনের দরজায় ধরনা দিয়েও ফল মেলেনি। প্রতিবাদে ধানের জমিতে গবাদি পশু নামিয়ে দিলেন ভাতার ও মঙ্গলকোটের চাষিরা। পাশাপাশি দক্ষিণ দামোদরের রায়নায় পথ অবরোধ করলেন চাষিরা।
জলের অভাবে ভুগছে পূর্ব বর্ধমানের একটি বড় অংশ। এখন ধানে শস্য নেওয়ার সময়। এই সময় প্রচুর জলের প্রয়োজন। কিন্তু সেই জল মিলছে না। যেসব এলাকায় গভীর নলকূপের সুবিধে নেই সেখানে অসহায় চাষিরা।
আরও পড়ুন-‘রাফাল তদন্তে আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী তাই রাতদুপুরে সরানো হয়েছে সিবিআই প্রধানকে’, কটাক্ষ রাহুলের
বৃহস্পতিবার জলের দাবিতে ধানের জমিতে গবাদি পশু নামিয়ে দিল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ও মঙ্গলকোটের চাষিরা। সেচখাল থাকলেও তাতে জল আসে না। ভরসা আকাশের বৃষ্টি। আকাশ এবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কোন রকমে খরচ করে এলাকার কৃষকরা চাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন বৃষ্টি যাবে কোথায়! ঠিক বৃষ্টি হবে। কিন্তু জল হয়নি। মাঠের ধান জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। আমন ধানের জমি ফুটিফাটা।
রাস্তা অবরোধ, প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ বা ডেপুটেশনের রাস্তায় হাঁটেননি এলাকার কৃষকরা। তারা বাড়ির গরু ছাগল ধানের জমিতে নামিয়ে দিয়েছেন। কৃষকরা জানান, এমনিতেই জলের অভাবে মাঠের ধান শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। তাই ঘরের গবাদিপশুরাই খেয়ে বাঁচুক। এমনিতেই গত কয়েক বছরে চাষীর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় কৃষকরা বড় সমস্যায় আছে। তার উপর বৃষ্টির অপ্রতুলতা। সব নিয়ে শস্যগোলা পূর্ববর্ধমানের কৃষকরা বড় সংকটে।
আরও পড়ুন-মায়ের অসাবধানতায় ২২ দিনের শিশু গিলল সেফটিপিন!
অন্যদিকে, ধানের জমিতে জল না পেয়ে পথ অবরোধ করলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার শ্যামসুন্দরের চাষিরা। বর্ষা শেষ হতে না হতেই তীব্র জলসংকট। চারদিকে জলের অভাবে মাটি ফেটে চৌচির। অন্যদিকে ক্যানেলেও এবার জল মেলেনি। তাই হতাশ কৃষকেরা। রায়না ওআর রায়না ২ ব্লকে শ্যামসুন্দরে পথ অবরোধ কৃষকদের। তাদের দাবি; অবিলম্বে এই দুটি ব্লকে সেচের জলের ব্যবস্থা করতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর তা উঠে যায়।