প্রদ্যুত দাস: গত বছর ২০২৩ সালের বর্ষায় উত্তর সিকিমের ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছিল। সমতলের বুক চিরে বয়ে গিয়েছিল তিস্তার ভয়াল স্রোত। তিস্তাজল ভাসিয়ে দিয়েছিল বিঘার পর বিঘে জমির ফসল-সহ তিস্তাপাড়ের গ্রাম। বিপর্যস্ত হয়েছিল বাসুসুবা গ্রাম-সহ অন্যান্য জনপদের স্বাভাবিক জনজীবনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Malbazar: গভীর রাতে একসঙ্গে ৯-১০টি হাতি হামলা চালাল স্কুলে, ভাঙল দরজা-জানলা...


এবারও হাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা এবং প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে বৃষ্টির দাপট। বৃষ্টির দাপটে নামে ভূমিধস। সোমবার পশ্চিম সিকিমে ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। সেই সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দ্রুত পৌঁছেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের তিস্তাপাড়ের জনপদে।


সেই দুঃসংবাদ পৌঁছেছে বাসুসুবা গ্রামের রুমাবালা রায়ের কানেও। ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়! তাই রুমাবালা আতঙ্কিত। তড়িঘড়ি ধান শুকিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। জানালেন, তিস্তার জলের পাশে বসেই গত বছরের সেই আতঙ্কের কথা আজ মনে পড়ছে তাঁর। 


এবং এ-আতঙ্ক শুধু তাঁর নয়, তা ওই অঞ্চলের অনেকেরই। সেই আতঙ্ক এবারেও গ্রাস করেছে রুমাবালা রায়ের মতো তিস্তাপাড়ের বাকি মানুষজনকে। সেই আতঙ্কের পরিমাণ ঠিক কতটা, সেই ছবিই পরিষ্কার হল আগাম সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টায়। তিস্তার জলে এলাকা প্লাবিত হলে যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় সেজন্য তাঁরা এখন নৌকার আয়োজনে নিয়োজিত। 


আরও পড়ুন: Jamai Sasthi 2024: জামাই-আদরে ছন্দপতন! ষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাত থেকে আম কাড়ল 'রিমাল' এবং...


কেননা, এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা নৌকোই। পুরনো সব নৌকা বার করে তা মেরামতির কাজে ব্যস্ত তাঁরা। এই প্রসঙ্গে বাসুসুবার গ্রামবাসী জানান, গত বছর যে অবস্থা হয়েছিল, এবারও তেমনটা হতে পারে। সেই কারণে নৌকোর বুকে-পেটে আলকাতরা মাখিয়ে ফুটোফাটাগুলি বন্ধ করে রাখছি আগে থেকেই।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)