Jhargram: শহরে থেকেও নেই পরিষ্কার খাওয়ার জল, খালের জলই ভরসা ঝাড়গ্রামবাসীর
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি নহড়খালের উপর সেতু নির্মাণের তাও হয়নি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও বঞ্চিত পরিস্রুত পানীয়জল থেকে। খালের জল একমাত্র ভরসা তাঁদের। বর্ষা কালে খালে জল ভরে গেলে দেখা দেয় তীব্র জল সংকট।
সৌরভ চৌধুরী: শহরে বসবাস করলেও পান করতে হয় খালের জল। বঞ্চিত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে। ঝাড়গ্রাম পৌরসভা পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তালডাঙ্গা এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট। নহড় খালের জল ব্যবহার করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তালডাঙ্গা এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের ২৫টি পরিবার বসবাস করেন। কিন্তু ওই এলাকায় না আছে রাস্তা, না আছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। অথচ তারা শহরের বাসিন্দা।
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি নহড়খালের উপর সেতু নির্মাণের তাও হয়নি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও বঞ্চিত পরিস্রুত পানীয়জল থেকে। খালের জল একমাত্র ভরসা তাঁদের। বর্ষা কালে খালে জল ভরে গেলে দেখা দেয় তীব্র জল সংকট।
দুই কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে আসতে হয় পানীয় জল। এলাকায় পাম্প বসানো হলেও তাতেও ঘোলা জল পাওয়া যায়। পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাটুকু করেনি, ঝাড়গ্রাম পৌর প্রশাসন। ওই এলাকার বাসিন্দা কিষান হাঁসদা ও সুকুর মনি মুর্মু বলেন, ‘আমাদের এলাকায় উন্নয়ন বলে কিছু হয়নি। হয়নি খালের উপর সেতু ,পানীয় জলেরও ব্যবস্থা নেই। একটি ট্যাপ বসানো হয়েছিল তাতে যে জল বের হয় সেই জলে রান্না করলে রান্না নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই ঘোলা জল খেলে অসুখ-বিসুখ হয়। তাই আমরা নহড় খালের জল ব্যবহার করি’।
আরও পড়ুন: আচমকা বিকট শব্দ! ভেঙে পড়ল বাড়ির পাঁচিল, বারুইপুরে বোমাবাজিতে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম পৌরসভার জল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর গৌতম মাহাতো বলেন, ‘ওই এলাকায় একটা পাম্প বসানো হয়েছিল। তাতে ঘোলা জল বেরোচ্ছে। নতুন করে পাইপ বসানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে’।
আরও পড়ুন: Haldia: আচমকা থামিয়ে গলায় মালা; হাতে গোলাপ গুঁজে দিল পুলিস, তাজ্জব বাইক চালকরা
বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো বলেন, ‘জঙ্গলমহল হাসছে এটাই তার নমুনা। এটা কোনও গ্রাম নয় এটা একটা শহর। ঝাড়গ্রাম শহরের তালডাঙ্গার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা বঞ্চিত পানীয় জল থেকে। কবে ওই মানুষগুলোর উন্নয়ন হবে তা এখনো জানা যায়নি’।
এই ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিককে বারবার জানানো হয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহরের ওই এলাকার মানুষ পানীয় জলের কষ্টের হাত থেকে কবে মুক্ত পাবেন তা এখনও জানা নেই। এর জন্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ঝাড়গ্রাম পৌরসভাকে দায়ী করেন।