নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের  ফলে একশো দিনের কাজ ছিল বন্ধ। আর্থিকভাবে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছিল শ্রমিকরা। অবশেষে রাজ্য সরকার প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একশো দিনের কাজের জন্য অনুমোদন দেয়। আর সেইমতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ডহারবার এক নম্বর ব্লকের কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজ জোর কদমে চলছে। এই ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০টি পুকুর খননের কাজ চলছে। সেই কাজে যুক্ত  কয়েক হাজার শ্রমিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাক্স পরে এবং স্যানিটারি রেখে কাজ করছে শ্রমিকরা । শুধু পুরুষ নয় , এই একশো দিনের কাজে  মহিলারা কাজ করছে। সরকারিভাবে রেশনের চাল পর্যাপ্ত পরিমাণ পেলেও  হাতে নগদ টাকা  না থাকায় আর্থিকভাবে সমস্যা  হত। সরকারের এই উদ্যোগে  সেই সমস্যা মিটেছে  কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। কারণ একশো দিনের কাজের জন্য গ্রামের মানুষের হাতে আসছে  নগদ টাকা। এমনকি আগের তুলনায় এই প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে আশার আলো দেখছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।


লকডাউনের জন্য অন্যান্য পেশার কাজ একদম বন্ধ । তাই এই গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষ এখন  একশো দিনের কাজে যুক্ত হয়েছেন । রহমতুল্লা লস্কর পেশায় ছিলেন সূচিশিল্পের কারিগর । লকডাউন এর ফলে মেটিয়াবুরুজ থেকে চলে আসে, ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছিল । সংসারে শুরু হয়েছিল  আর্থিক অনটন । সমস্যা হচ্ছিল সংসার চালাতে । একশো দিনের কাজ শুরু হওয়ার পর ফিরেছে আর্থিক  স্বচ্ছলতা । ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও মিলন তীর্থ সামন্ত সরজমিনে তদন্ত করে দেখছে সমস্ত কাজ ঠিকমতো হচ্ছে  কিনা।



পাশাপাশি  একশো দিনের কাজ শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা তাও  খতিয়ে দেখছেন ।শুধু কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নয় , একইভাবে উপকৃত হচ্ছে নেতারাগ্রাম পঞ্চায়েতের অসংখ্য মানুষ ।  এই পঞ্চায়েতের যশোর আলী গ্রামে শুরু হয় একশো দিনের কাজ । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ । এই গ্রামের আজমিনা খাতুন, সহিযা খাতুনরা একশো দিনের  শ্রমিক । লকডাউনে এদের  সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল । রেশনের বেশকিছু চাল পেলেও ছিল না কোন টাকা-পয়সা । তাই একশো দিনের কাজকে  হাতিয়ার করে সংসার বাঁচানোর লড়াই পুরুষদের সাথে  মাটি মাথায় নিয়ে কাজ করে চলেছে। জীবনযুদ্ধে এই একশো দিনের কাজ আজমিনাদের বেঁচে থাকার রসদ জোগাচ্ছে । বৈশাখের কাঠফাটা রোদে  সমস্ত কষ্টকে সহ্য করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরে  মানসিক তৃপ্তি পাচ্ছেন  নেতারাগ্রাম পঞ্চায়েতের যশোর আলী গ্রামের মহিলা শ্রমিকরা ।


আরও পড়ুন- লকডাউন পরবর্তিতে বিমানে নিষিদ্ধ হচ্ছে কেবিন ব্যাগ, থাকতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ!


ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা জানান, "এখানে নটি ব্লকে প্রায় এক হাজারের বেশি পুকুর খননের কাজ চলছে।  শ্রমিকের সংখ্যা প্রায়  ৪০ হাজার ।  এদের মধ্যে মহিলা ৪০%,  আর ৩০% পরিযায়ী শ্রমিক। বাকিস্থানীয় মানুষ । পুকুর খননের পাশাপাশি এলাকার একশো দিনের কাজে রাস্তা মেরামতে কাজ চলছে। এইসব শ্রমিকরা যাতে খুব তাড়াতাড়ি টাকা পায় সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।  সাত দিনের মধ্যে মাস্টার রোল এর মধ্যে দিয়ে এদের টাকা পরিশোধ করা হবে। "মহকুমা শাসক  আরো বলেন,  ভিন রাজ্য থেকে ফিরছে অনেক শ্রমিক আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো সংখ্যাটা বাড়বে।


তথ্য সংগ্রহে --- নকিবউদ্দিন গাজি