তপন দেব: বইয়ের ব্যাগে গামছা নিয়েই বের হতে হয়। স্কুলের পোষাক ছেড়ে গামছা পরে নদী পেরিয়ে আবার পরতে হয় পোষাক। ডেপুটেশন থেকে শুরু করে পথ অবরোধ সব করেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের উত্তর চিকলিগুড়ি ও পারোকাটা  গ্রামের বাসিন্দাদের এটাই রোজনামচা। স্কুল কিংবা কাজে যেখানেই যান ব্যাগে করে আপনাকে গামছা নিয়েই বের হতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-খাবার চাওয়াই অপরাধ একরত্তির! গুপ্তিপাড়ায় শিশু মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য...
 

গ্রামদুটির সামনে দিয়ে বয়ে চলেছে রায়ডাক নদী। এই নদীতে পারকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি নৌকো ছিল পারাপারের জন্য । প্রায় লক্ষাধিক টাকা পাওনা পঞ্চায়েতের কাছে । ফলে নৌকোর মালিক আর নৌকো চালায় না। নৌকো পরিষেবা বনধ হওয়ায় চরম বিপাকে গ্রামের মানুষ। বহু আবেদন নিবেদন করেও কাজের কাজ না হওয়ায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গ্রামের মানুষ শামুকতলা যাওয়ার সড়ক অবরোধ করে রাখে। কোনও কাজ হয়নি। এবার গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বাঁশের সাকো তৈরি করতে চাইছেন।


এনিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধীপতি স্নিগ্ধা শৈব্য বলেন, আমি শুনেছি ব্রিজের দাবিতে পথ অবরোধ হয়েছে। তবে ব্রিজের দাবিতে কেউ আমার কাছে আসেনি। এত বড় ব্রিজ তৈরি করার পরিকাঠামো জেলা পরিষদের নেই। তবে মানুষের দাবি মেনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানাবেন তিনি।


কৃষ্ণ বর্মন নামে এক গ্রামবাসী কাঁধে সাইকেল নিয়ে নদী পার হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, কাজে যাচ্ছিলাম। এভাবেই চলছে আমাদের জীবন। অনেক আন্দোলন করে কিছু হয়নি। যে এমপি বা এমএলএ আসে সে-ই বলে দেখছি। ভোট আসলেই সবাই বলে ব্রিজের চেষ্টা করব। ভোট ফুরলে আর কিছুই হয় না।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)