Jagdeep Dhankhar:`লোক বলছে বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হচ্ছে`, রাজ্যকে ফের নিশানা ধনখড়ের
রাজ্যপালের মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক'দিন আগেই বিধানসভায় বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। এবার ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে গান্ধীজির মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও গিয়েও রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল।
অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল(Jagdeep Dhankhar) বলেন, হিংসা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একসঙ্গে চলতে পারে না। তারা একে অপরের শত্রু। গত বছর নির্বাচনের পর রাজ্যে যে হিংসার(Post Poll Violence) দৃশ্য দেখা গিয়েছে তা যেন আর দেখতে না হয়। স্বাধীনতার পর দেশে এরকম ঘটনা আর ঘটেনি।
এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। রাজ্যকে নিশানা করে ধনখড় বলেন, লোক বলে বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হতে চলেছে। এটা আমি বরদাস্ত করতে পারব না। মানবাধিকারের হত্যা হয় এমন ল্য়াবরেটরি বাংলা হয়ে যাক এটা মেনে নিতে পারব না। আপনি ও আমাদের সবার কর্তব্য, ভারতের সংবিধান অক্ষুন্ন রাখা। অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু নবান্ন-র একটাই নীতি, অল ইজ ওয়েল। এটা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন-কোন পজিশনে কিয়ানকে খেলিয়ে ডার্বি জয়ী সবুজ-মেরুন? জানিয়ে দিলেন Juan Ferando
রাজ্যপালের মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেন(Shantanu Sen)। তিনি বলেন, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। আজকের সংহতি দিবসে মহাত্মা গান্ধীর পবিত্র ভূমিকে তিনি কলঙ্কিত করলেন। রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন। উনি বললেন, আজ বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। তাহলে আজ যে ওঁর মুখ থেকে যে বাণী বেরিয়ে এল তা কোন গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে বের হল? দেশের কোনও রাজ্য বা অতীতে বাংলার কোনও এমন রাজ্যপাল দেখা যায়নি যিনি এভাবে কেন্দ্রের দলদাস হিসেবে কাজ করছেন। ব্য়ক্তিগতভাবে দাবি করছি, অবিলম্বে এই রাজ্যপালকে বাংলা থেকে সরানো হোক।
অন্যদিকে, রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপাল না জানেন বাংলার ইতিহাস, রাজনৈতিক সচেতনতার ইতিহাস। বাংলার রাজনীতিতে হিংসা বরাবরই ছিল। নির্বাচনে যদি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেটা সর্বিক দায়। কোনও দলের দায় নয়। ফেসবুক বা টুইটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কী করণীয় তা উনিই কোনও সংবিধান বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। ওঁকে আমরা সম্মানই জানাতে চাই। পাশাপাশি ওঁরও দায় রয়েছে প্রকৃত সম্মানিত হয়ে ওঠার।