অরূপ লাহা: রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে গণ্ডগোলের মাঝেই বির্তক উস্কে দিল পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর ব্লক। সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকা থেকে গোটা গলসি ২ নম্বর ব্লকের উপভোক্তারা বাদ গেছেন। তালিকায় কোন উপভোক্তার নাম না থাকায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় শাসকদল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শিয়রে কোভিড! এবছর আরও ভয়ঙ্কর আর্থিক মন্দার মুখে বিশ্ব, কেমন হবে ভারতের অবস্থা
 


গলসি ২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জীব সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোনে জানান, ২০১৮ সালে যখন আবাস যোজনায় বাড়ির এন্ট্রি হয়েছিল তখন ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের মোট ১৯,৬৩৬ জন আবেদন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পোটালে এই ১৯,৬৩৬ জন উপভোক্তার নাম তোলা হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় গলসি ২ নম্বর ব্লকের কোন উপভোক্তার নাম নেই। পোটালে শূন্য দেখাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, জেলার আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ১১  ও পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে মাত্র ১২ জন উপভোক্তার নামের তালিকা এসেছে।  ভাতার ও বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের একটা বড় অংশ আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরে বহু বার চিঠি লিখেও কোন কাজ হয়নি।


একই কথা শোনালেন গলসি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী। তিনি বলেন, পোর্টালে ২০১৮ সালে নাম আপলোড করা হয়েছিল। কিন্তু উপভোক্তাদের নাম বাদ গিয়েছে। সুতরাং আমরা চাই অবিলম্বে উপভোক্তাদের নাম পাঠানো হোক আবাস যোজনার তালিকায়।


ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শৈলেন হালদার বলেন, বারে বারে ব্লক থেকে চিঠি পাঠানো হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনও সুরাহা মেলেনি।
 
স্থানীয় বাসিন্দা আলাপনা লোহার বলেন, বিডিও অফিসের পাশেই আমার বাড়ি। তবুও আমি ঘর পায়নি। আমার মাটির ভাঙাচোরা ঘর। তবুও আমার নামে বাড়ি আসেনি। একই দাবি স্থানীয় বাসিন্দা দেবী লোহারেরও। তিনি বলেন, বিডিও ও প্রধানকে বাড়ির জন্য বলা হলেও কোন কাজ হয়নি। আমার ভাঙা বাড়ি প্রধান-সহ সবাই জানে।


বিরোধীরা অবশ্য শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন,স্থানীয় প্রশাসনের অপদার্থতার জন্যই এতগুলো মানুষের নাম বাদ গেল। আসলে অযোগ্য লোক দিয়ে কাজ করানোর ফল। জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দার বলেন, আবাস যোজনা মানেই তাকে তৃণমূল হতে হবে। না হলে তার নাম তালিকায় থাকবে না।


তবে এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন,পোর্টালে নাম তোলা হলেও টেকনিক্যাল কারণে গোটা জেলার ৪৪ হাজার উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারে বারে আবেদন করেও কিছু ফল হয়নি। এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য তথা গলসির বাসিন্দা জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গোটা বিষয়টি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ  ও আলুওয়ালিয়াজিকে জানাব। আসলে তৃণমূল সরকার মেলা, খেলা ও বালি কয়লা নিয়ে পড়ে আছে। এসব ওরা ভাবে না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)