নিজস্ব প্রতিবেদন : জাতীয় কবি কাজি নজরুলের নামে সম্মান অনেক বড় পাওয়া। কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি.লিট গ্রহণের পর বললেন আবেগতাড়িত শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে কাজি নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুলের ১১৯ তম জন্মজয়ন্তীকেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয় কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন পড়ুয়া-গবেষককে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। ৪৪০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। পাশাপাশি, এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়।


আরও পড়ুন, বাদ মাংস, মাছেই আপ্যায়ন হাসিনাকে


সম্মান গ্রহণ করে দৃশ্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ঝরে পড়ে আবেগ, ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা। হাসিনা জানান, বিশ্বের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তাঁকে বিভিন্ন সময়ে সম্মান প্রদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। কিন্তু, সময়ের অভাবে সবসময় সব জায়গায় গিয়ে তিনি উপস্থিত হতে পারেন না। কিন্তু, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ পেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দ্বিতীয়বার ভাবেননি।


হাসিনা বলেন, কাজি নজরুল সবসময় বাংলাদেশের মানুষের চেতনায় জাগ্রত। বাংলাদেশের মানুষের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা। তাঁকে দেওয়া এই সম্মান "বাংলাদেশের মানুষের সম্মান, প্রতিটি বাঙালির সম্মান" বলে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা। তিনি আরও বলেন, "বাংলা ভাগ হতে পারে, কিন্তু রবীন্দ্র-নজরুলের কোনও ভাগ হয় না।"


আরও পড়ুন, কৌশলে এড়ালেন তিস্তা-প্রসঙ্গ, ভারতের প্রতি কেবলই কৃতজ্ঞতার সুর হাসিনার গলায়


একইসঙ্গে বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য এদিন ফের ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেইসময় "খাবার ভাগ করে খেয়েছিল ভারতবাসী"। আগামী দিনেও উপমহাদেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন হাসিনা। শুনুন, হাসিনার বক্তব্য-