মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে `বুলবুল` দুর্যোগে সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
`বুলবুল`-এর দাপটে বিপর্যস্ত বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, সন্দেশখালি, ঝড়খালি, নন্দীগ্রাম, নয়াচর, খেজুরি এলাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর দাপটে বাংলার কী পরস্থিতি, তা জানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিস্তারিত খোঁজখবর নেন তিনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সমস্তরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। টুইট করে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। মোদী লিখেছেন-
অন্যদিকে, ৯ জেলায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষ বুলবুল-এর তাণ্ডবের ফলে দুর্গত অবস্থায় আছেন। দিল্লিকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য। ৯ জেলার জেলাশাসকদের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্যসচিবের। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্নে ভিডিয়ো কনফারেন্সকরেন মুখ্যসচিব। উপস্থিত ছিলেন অন্য আধিকারিকরাও। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর তাণ্ডবের ফলে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হয় ভিডিয়ো কনফারেন্সে।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সারা রাত নবান্নে কন্ট্রোলরুমে পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি চালানোর পর আগামিকালই 'বুলবুল' দুর্গত এলাকায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কপ্টারে করে এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আগামিকালই বকখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল ধনখড়
উল্লেখ্য, ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে রওনা দিয়েছে। বেলা বাড়তেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ গঙ্গাসাগর এলাকায় আছড়ে পড়ে বুলবুল। শুরু হয় তাণ্ডবলীলা। 'বুলবুল'-এর দাপটে বিপর্যস্ত বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, সন্দেশখালি, ঝড়খালি, নন্দীগ্রাম, নয়াচর, খেজুরি এলাকা। আজ সকাল থেকেই বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে ড্রোন দিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। এলাকা ঘুরে দেখেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।