`বড়মার সঙ্গে দেখা করে গর্ব অনুভব করছি`, প্রণাম জানিয়ে বাংলায় বললেন মোদী
কিছুক্ষণ কথা হয় বড়মার সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।
ঠাকুরনগর থেকে মোদীর সভা LIVE:
এই বিল আমার ভাই-বোনদের অধিকার রক্ষার জন্য। এই বিল দেশকে টুকরো টুকরো হতে দেবে না।
নাগরিকত্ব বিলে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের জন্য বলব।
স্বাধীনতার পর ভারতের মানুষ ভেবেছিলেন, যেখানে আছেন শান্তিতে থাকবেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের হিংসার শিকার হতে হয়েছে। তাঁদের জন্যই নাগরিক আইন আনা হয়েছে।
ভোটের পর যখন পূর্ণাঙ্গ বাজেট আসবে তখন কৃষকদের জন্য আরও উন্নয়ন প্রকল্প আনা হবে।
ছোট কৃষকদের জন্য বছরে ৬ হাজার টাকা এখন সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে যাবে। মাঝে কোনও সিন্ডিকেট ট্যাক্স, কোনও বাধা থাকবে না।
ভোটের স্বার্থে এর আগে কৃষকদের ঋণ মকুব করা হয়েছে। কৃষকদের সরলতার সুযোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের সার্বিক উন্নতির কথা ভাবা হয়নি।
এখানে এই জনসমাগম দেখে বুঝতে পারছি, দিদি কেন হিংসাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন? যাঁরা গণতান্ত্রিক হওয়ার ধ্বজা ওড়ান, তাঁরা আসলে নিরীহ মানুষকে খুন করছেন।
উপস্থিত জনতাকে শান্ত থাকার বার্তা। ভিড়কে সংযত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।
বাজেটে কৃষকদের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কিষাণ যোজনা, উপকৃত হবে দেশের ১২ কোটি কৃষক পরিবার।
কিন্তু নতুন ভারতে এই অবস্থা চলবে না। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে কেন্দ্রীয় সরকার গত সাড়ে চার বছর ধরে চেষ্টা করছে।
স্বাধীনতার পর গ্রামের দিকে যতটা নজর দেওয়া দরকার ছিল, ততটা দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আরও খারাপ।
"বড়মার সঙ্গে দেখা করে গর্ব অনুভব করছি।"
বাংলার এই মাটিতে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষ জন্মেছেন। নত মস্তকে এই মাটিকে আমার প্রণাম।
"আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এই ঠাকুরগনরের মাটি পবিত্র মাটি। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মাটি। এই মাটি সাহিত্যিক বিভূতিভূষণের মাটি, এই মাটিকে আমার প্রণাম।" বাংলায় প্রণাম জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
'জয় হরিবোল' ধ্বনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাগত জানানো হয়।
সভায় নাগরিকত্ব বিলের জন্য মোদীকে সংবর্ধনা জানানো হয় সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের তরফে। সংবর্ধনা জানান ছোটমা।
বেলা ১২টা ২০- ঠাকুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে সভাস্থলে পৌঁছলেন মোদী।
ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে প্রথমে নাটমন্দিরে যান। তারপর বড়মার সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিছুক্ষণ কথা হয় বড়মার সঙ্গে। বড়মাকে প্রণাম করেন মোদী। উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। বড়মার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন মোদী।
ঠাকুরনগরে পৌঁছে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকলেন মোদী। ওদিকে সভাস্থলে উপস্থিত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, রূপা গাঙ্গুলি প্রমুখ।
বেলা ১২টা- ঠাকুরনগরের মাটি ছুঁল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কপ্টার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১১টা ২২ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে এসে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ২০ মিনিটের মাথায় ১১টা ৪২ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে ঠাকুরনগরের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
আজ বাংলায় জোড়া সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর প্রথম সভা উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে। তারপর তিনি যাবেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। সেখানও তাঁর একটি সভা রয়েছে। ঠাকুরনগরের সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক কড়চা তুঙ্গে।
সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের আমন্ত্রণে মতুয়াদের একটি সভায় যোগ দিতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থির হয়েছে বড়মা বীণাপাণি দেবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী সাক্ষাত করবেন। বড়মার আশীর্বাদ নিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বড়মার শারীরিক পরিস্থিতি বিগত কয়েকদিন যাবত্ ভালো না থাকায়, এদিন সকালেও চিকিত্সকরা এসে তাঁকে পরীক্ষা করে যান।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বড়মার বাড়ি ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
এদিকে শনিবার বাংলায় আসার আগে শুক্রবার টুইটারে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটে মোদী লেখেন, ''বাংলার ভাই-বোনেদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছে। আমি ঠাকুরনগরে ও দুর্গাপুরের সভায় উপস্থিত থাকব।''