মৃত্যুঞ্জয় দাস ও প্রসেনজিৎ সরদার: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। তেরঙা যাত্রায় ফের বাধা? পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নন্দীগ্রামের এবার বাঁকুড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। ১৩ অগস্ট শনিবার থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পোশাকি নাম, 'ঘর ঘর তেরঙা'।


উদ্দেশ্য, 'ঘর ঘর তেরঙা' কর্মসূচির প্রচার। এদিন সকালে বাঁকুড়ার শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকা থেকে বাইক মিছিল বের করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। গন্তব্য, শুশুনিয়া পাহাড়। অভিযোগ,  মিছিল যখন ছাতনার  বারবাঁকড়া এলাকায় পৌঁছয়, তখন বাধা দেয় পুলিস। এরপর যাঁরা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন: Garbeta Accident: গড়বেতায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৩ জনের


তারপর? 'পুলিসের বাধা' উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত গন্তব্য়ে পৌঁছন বিজেপি কর্মীরা। শুশুনিয়া পাহাড়ে তেরঙা মিছিলকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। গতকাল, শনিবার আবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধাগারে আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার উত্তোলনে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তৃণমুল বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।



এর আগে, শুক্রবার 'ঘর ঘর তেরঙা'র কর্মসূচি প্রচারে নিজের নির্বাচনীকেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তাঁর নেতৃত্বে তেরঙা যাত্রায় অংশ নেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু সেই মিছিল পুলিস আটকে দেয় বলে অভিযোগ। কেন? ঘটনাস্থলেই পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে ইতিমধ্যেই নালিশও করেছেন তিনি। যাঁরা তেরঙা যাত্রায় বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। এমনকী, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছেন, 'তেরঙা যাত্রা করতে অনুমতি লাগে নাকি! এটা কি পাকিস্তান? ১৬ তারিখ আাদালতে যাব'।


আরও পড়ুন: Kakdwip: আতঙ্ক বাড়ছে সাগর-নামখানায়, কোটালের জল ঢুকে গেল কাকদ্বীপে


এদিকে স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি তুঙ্গে কলকাতায়। তেরঙা রঙে সেজে উঠেছে হাইকোর্ট, ভিক্টোরিয়া, মেটক্যাফে হল-সহ শহরের ঐতিহাসিক ভবন ও সৌধগুলি। ১৫ অগস্ট শহরের রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত ২৫০০  পুলিস। প্রত্যেকটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন ১ করে ডেপুটি পুলিস কমিশনার। সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার ও ৬ যুগ্ম কমিশনার। রেড তৈরি করে হয়েছে ৬ ওয়াচ টাওয়ার, ১১ বাঙ্কার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)