নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকির জেরে আত্মহত্যা। হাওড়ার প্রতিভাবান ক্যারাটে খেলোয়াড়ের মৃত্যুরহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিস। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সানি খান ওরফে শেখ তারুফ। তদন্তকারীদের দাবি, আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যারাটে খেলোয়াড় হিসেবে যথেষ্ট নামডাক ছিল। শরীরচর্চা-সহ বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা করতেন নিয়মিত। হাওড়ার বালির দেশবন্ধু ক্লাব লাগোয়া এলাকায় থাকতেন পামেলা অধিকারী। গত ৪ জুলাই রাতে বাড়িতে থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ ছিল, কয়েক বন্ধুই পামেলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এমনকী, ফোনে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল!


আরও পড়ুন: নিমতায় রিহ্যাব সেন্টারে 'পিটিয়ে খুন'! গ্রেফতার ২


তদন্তে সানি খান নামে এক যুবকের নাম উঠে আসে। কে এই সানি খান? মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে সানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পামেলা। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। সানির বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বর্ধমানের গলসি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস।  পুলিস সূত্রে খবর, বছর ঊনিশের সানি বিবাহিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়ার পর পামেলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। ফোনেও দু'জনের যোগাযাগ ছিল। তখন অবশ্য ওই মহিলা খেলোয়াড় জানতেন না যে, প্রেমিক বিবাহিত। এরপর একদিন যখন সানির স্ত্রী ফোন ধরেন, তখনই সবকিছু জানাজানি হয়ে যায়। সানির সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন পামেলা। এমনকী, ব্লক করে দিয়েছিলেন ফোন নম্বরও।  কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না অভিযুক্ত। বিভিন্ন নম্বর থেকে ওই তরুণীকে ফোন করে উত্যক্ত করত সে।   



তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার খেলোয়াড়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবিও ছিল সানির কাছে। সম্পর্ক না রাখলে সেইসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে সে। স্রেফ ব্ল্যাকমেল করাই নয়, প্রাক্তন প্রেমিকার কাছে আরও ছবি চাইত সানি। তারপর? শেষপর্যন্ত ছবিগুলি পামেলার বাবা-মায়ের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ক্যারাটে খেলোয়াড় পামেলা অধিকারী।


আরও পড়ুন: বকখালিতে ফের ডুবল ট্রলার, নিখোঁজ ১০ মত্‍স্যজীবী


এদিকে আত্মঘাতী হওয়ার নিজের মোবাইলের পাসওয়ার্ডটি লিখে রেখে গিয়েছিলেন পামেলা। তাঁর মোবাইল থেকে বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীরা। পরিবারে লোকেরা আগে অভিযোগ করেছিলেন। সানি খানের সন্ধানে তল্লাশিতে নামে পুলিস। ঘটনার দশদিন পর অবশেষে ধরা পড়ল সে। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত