দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত ৭ তৃণমূল সমর্থকই
সোমবার সকালে বীরভূমের কাঁকরতলা বড়রা গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের কাঁকরতলায় বিস্ফোরণের ঘটনার ৭ জন তৃনমূল সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিস। মঙ্গলবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। এদিনই দুর্গাপুর থেকে আসছে বম্ব স্কোয়াড।
সোমবার সকালে বীরভূমের কাঁকরতলা বড়রা গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে প্রথমে ছুটে আসেন স্থানীয়রাই। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, আশেপাশের বাড়িগুলির জানলা-দরজাও কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়দের দাবি। কার্যালয়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। গোটা কার্যালয়টিই প্রায় ভেঙে পড়েছে। তবে সম্ভবত বিস্ফোরণের সময় কার্যালয়ের ভিতরে কেউ ছিলেন না। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকরতলা থানার পুলিস। দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল কিনা, তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হয়। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণও রয়েছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ ছিল ঝাড়খণ্ড থেকে এসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি ছিল, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের কারণে মজুত রাখা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ২৮ তারিখ বিস্ফোরণে উড়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তৃণমূল কার্যালয়। সেদিনের ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ তৃণমূল কর্মীর। আহত হন আরও তিন জন। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কার্যালয়ে বোমা মজুত করা হচ্ছিল। মজুত বোমাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও এই দাবির সত্যতা প্রমাণ হয়নি।