Women Trafficking: প্রেমের ফাঁদ পেতে শতাধিক `নারী পাচার`! বিয়ের আগেই অভিযুক্তকে ধরল পুলিস
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় ধৃতের নামে ধর্ষণ এবং অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এসেছিল বিয়ে করতে। আরও একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করতে। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না! পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল শতাধিক নারী পাচারকারীরের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত।
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG), ভক্তিনগর থানা এবং রায়গঞ্জ থানা যৌথ ভাবে অভিয়ান চালায়। গ্রেফতার করে অভিযুক্ত রাহুল সরকার ওরফে রাজু ওরফে সাফিয়ুল ইসলামকে। পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যাক্তির খোঁজে ছিল প্রশাসন। ধৃত মূলত অসমের কোঁকড়াঝাঁড় এলাকার বাসিন্দা, তবে কলকাতার সোনারপুরে থাকত। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আনুমানিক শতাধিক মেয়েকে পাচার করেছে সে। বিভিন্ন সময় নাম পাল্টে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। এরপর তাঁদের বিক্রি করে দিয়েছে।
এবারও সেই একই ফাঁদ পাতে ধৃত। খবর পেয়ে সোনারপুর থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিস। সার্ভিল্যান্স টিম তাঁর উপর নজর রাখতে শুরু করে। রায়গঞ্জে একটি মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধৃত। রাহুলের কথা মত মেয়েটি বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা, জামা-কাপড় নিয়ে বেরিয়ে আসে। তখনই রায়গঞ্জ থানার সাহায্যে রাহুলকে আটক করে এসওজি (SOG)। আটক করা হয় মেয়েটিকেও। তাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, এই নিয়ে ১৫ নম্বরবার বিয়ে করতে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। এসিপি ইস্ট শুভেন্দ্র কুমার জানান , "রাহুল সরকার ওরফে রাজু ওরফে সফিয়ুল ইসলামের নামে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। মূলত ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। শিলিগুড়ি থানা, ভক্তিনগর থানা, মেটেলি ও হলদিবাড়ি থানাতেও অভিযোগ রয়েছে। মূলত প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে মেয়েদের পাচার করত সে। জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।" পুলিশের অনুমান এই ঘটনার পেছনে বড় কোনও পাচার চক্র জড়িত।