নিজস্ব প্রতিবেদন: বুকে ঝুলছে জরুরি পরিষেবার সরকারি পরিচয়পত্র। তিনি ও প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের মধ্যে একজন। অভিযোগ, এলাকায় জরুরি পরিষেবা দিতে গিয়ে পুলিসের হাতে মার খেতে হল কৃষ্ণনগর পুরসভার সাফাইকর্মী সুরেশ সাউকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা মোকাবিলায় বুধবার রাজ্যজুড়ে লকডাউন। সবকিছু বন্ধ থাকলেও ছাড় আছে জরুরি পরিষেবায়। সেইমত গলায় সরকারি পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে কৃষ্ণনগর পুরসভা থেকে হাফ কিলোমিটার দূরে পুরসভার অধীনে জলকল অফিসে যাচ্ছিলেন সেই পুরকর্মী। সেই সময় তাঁকে পুলিস মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই পুরকর্মী।


আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হন, প্রয়াত কোচবিহারের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি


কর্মরত পুরকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ নিয়ে পুলিসের সাফাই, সুরেশ সাউকে পুরকর্মী বলে চিহ্নিত করা যায়নি। সে সময় তাঁর মুখে মাস্ক এবং গলায় কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। তাই তাঁকে পুরকর্মী বলে চেনা যায়নি। যদিও হেনস্তা হওয়া পুরকর্মীর দাবি, তাঁর গলায় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কোতোয়ালি থানার অধীনস্থ পুলিস লাইনের একজন অফিসার এবং তিনজন সিভিক ভলিন্টিয়ার তাঁকে মারধর করে।


এই বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণনগর পুরসভার পুরপ্রশাসক অসীম সাহা জানান, লকডাউন নিয়ে পুলিসের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। সেখানে পরিষ্কার করে বলা ছিল, পুরকর্মীরা পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে কাজে যাবে। পুলিস তাঁদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে। মনে হচ্ছে কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কারণ গলায় পরিচয়পত্র থাকলে পুলিসের হেনস্থা করা উচিত নয়।


সহকর্মী পুলিসের হাতে মার খাওয়ার প্রতিবাদে পুরসভার সাফাইকর্মীরা কৃষ্ণনগর পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিসের অন্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে কাজে যোগ দেন সাফাইকর্মীরা।