নিজস্ব প্রতিবেদন:  সমকামী প্রেমের জন্য চাপ। কিন্তু  তাতে রাজি হয়নি  মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আর তার জেরেই ফেসবুক বন্ধুর  হাতে খুন হতে হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে।  কোচবিহারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শান্তুনু ভট্টাচার্য খুনের তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছে পুলিস।  গ্রেফতার করা হয়েছে শুভঙ্কর ঘোষ নামে মূল অভিযুক্তকে।  তাকে জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার বিকেলে কোচবিহার শহর লাগোয়া হরিণচওড়া এলাকায় তোর্সা নদীর পাড় থেকে  শান্তনু ভট্টাচার্যের  নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তার এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করে। পুলিস তার মোবাইল খতিয়ে দেখে শুভঙ্করের নাম জানতে পারে। কোতোয়ালির ঘুঘুমারি এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্করের সঙ্গে শান্তনুর ফেসবুকে পরিচয় হয়। তারপর বন্ধুত্ব। দুজনে বেশ কয়েকবার দেখাও করে। এরপরই শান্তনুর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে শুভঙ্কর।  শান্তনু  সেই সম্পর্কে যেতে রাজি হয়নি বলে দাবি শুভঙ্করের।


আরও পড়ুন: নিউটাউনের সাপুরজি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত ২০ টি দোকান


জেরায় পুলিস জানতে পেরেছে, শান্তনু শুভঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। এরপরই ক্ষোভ বাড়তে থাকে শুভঙ্করের। পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালেও শুভঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল শান্তনু। তারপর তারা তোর্সার চরে দেখা করে। সেখানেই সম্ভবত কথা কাটাকাটি হয় দুজনের। শান্তনুর গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টান দেয় শুভঙ্কর। অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শান্তনু। শুভঙ্কর এরপর বাড়ি চলে যায়। বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে ফের ওই এলাকাতেই ফেরে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে  শান্তনুর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়।  শ্বাসনালি কেটে যায় শান্তনুর।



আরও পড়ুন - পান চাষে বিপর্যয়, প্রশাসনের সাহায্যের আশায় চাষিরা


অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শান্তনুর প্রতিবেশীরা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।