Exclusive: বগটুইকাণ্ডে পুলিসি `গাফিলতি`র পর্দাফাঁস, জি ২৪ ঘণ্টার হাতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
সোমবার রাত ৮.২৫ থেকে ৮.৩০। খুন হন ভাদু শেখ। পুলিস পৌঁছনোর আগেই দেহ তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে পরিবার। জানা যায়, পৌঁনে ৯টা নাগাদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান SDPO, IC-সহ পুলিসবাহিনীর সদস্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইসি, এসডিপিও ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন। নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার রাজ্য পুলিসের হাত থেকে এখন গেছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু, সেদিন ঘটনার পর কি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার থেকে বীরভূমের পুলিস সুপার?
ছত্রেছত্রে উঠে আসছে তাঁদের গাফিলতির চাঞ্চল্যকর ঘটনাক্রম-
সোমবার রাত ৮.২৫ থেকে ৮.৩০। খুন হন ভাদু শেখ। পুলিস পৌঁছনোর আগেই দেহ তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে পরিবার। জানা যায়, পৌঁনে ৯টা নাগাদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান SDPO, IC-সহ পুলিসবাহিনীর সদস্যরা।
রাত ৯.১৫-
অভিযুক্তদের ধরতে রেইডে পাঠানো হয় পুলিসের এই দলটিকে। মনে করা হচ্ছে, তারমধ্যেই ভাদুঘনিষ্ঠরা খুনের বদলা খুন, অপারেশন শুরু করল।
পৌঁনে দশটা নাগাদ বগটুইয়ের ১০টি বাড়িতে আগুন লাগানোর খবর পায় পুলিস। খবর পাওয়ার পরই রেইড ছেড়ে ঘটনাস্থলের দিকে ছোটেন আইসি, এসডিপিও, আইসি নলহাটি সহ পুলিসের দল। সঙ্গে ছিল দমকল। রাত ১০.১৫ নাগাদ অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে রিসিভ করতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এসডিপিও, আইসিরা।
জানা যায় সেই সময়ে যেখানে আগুন লাগানো হয়েছিল সেখানে রইলেন আইসি নলহাটি সহ কয়েকজ পুলিসকর্মী।
রাত ১০.২০-
প্রথম ঘটনাস্থলে যেখানে ভাদু শেখকে খুন করা হয়, সেখানে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিস সুপার, এসডিপিও, আইসি সহ বাকিরা। শুরু হয় সিসিটিভির ফুটেজ বাজেযাপ্ত করা থেকে অন্যান্য তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ।
রাত ১২.৩০-
বগটুইয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে আসেন এসপি। ১৫ মিনিটি থেকে আধঘন্টা সময় সেখানে থেকে বেরিয়ে যান তিনি। খবর, সেখান থেকে সকলকে নিয়ে ‘মিটিং’ করতে চলে যান কৌশিকি গেস্ট হাউসে। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে সেখানেই থাকেন এসডিপিও, আইসি, অতিরিক্ত পুলিস সুপার, পুলিস সুপার। পরবর্তীতে রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার।
তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই আইসি, এসডিপিওরা ফের বেরিয়ে যান ভাদু শেখের খুনের আসামীদের ধরতে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা-
খবর আসে সঞ্জু শেখের পোড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতটি পোড়া দেহ। যদিও, তার আগের রাতে তিনজন অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে দমকল। ওই দিনই সকাল ১১টার পর সেখানে যান পুলিস সুপার।
প্রশ্ন যেখানে-
কেন পুলিসের তদন্তে যাবতীয় গুরুত্ব কেন্দ্রীভূত হল প্রথম ঘটনাস্থলকে ঘিরে?
প্রশ্ন উঠছে, দ্বিতীয় ঘটনাস্থল, যার দূরত্ব প্রথম ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে, যেখানে কমপক্ষে পাঁচটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে , তা জেনেও কেন দ্বিতীয় ঘটনাস্থলে গেলেন না ওই পুলিসকর্তারা?
খুনের পর বাড়িগুলিতে আগুন লাগানো হয়েছে জেনেও তখন কেন সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত থেকে আসামীদের ধরতে পাঠানোর মত বিষয়ে জোর দেওয়া হল না?
প্রথম ঘটনাস্থলে যে পুলিসকর্মীরা বা দমকল কর্মীরা ছিলেন তাঁরাই বা কেন বাড়িগুলির ভিতরে গিয়ে দেখলেন না, ভিতরে কেউ আছে কিনা?
আরও পড়ুন- Rampurhat Arson: পুলিসি হেফাজত আনারুলের, একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু