নিজস্ব প্রতিবেদন: নানুরে নিহত বিজেপি কর্মী স্বপন ঘড়াইয়ের দেহ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। মঙ্গলবার সকালে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়ির দেওয়ালে নোটিস লাগিয়ে এল পুলিস। নোটিসে স্পষ্টভাবে লেখা, দেহ নিতে অস্বীকার করেছে পরিবার, তাই তা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে। অথচ, ঠিক তার উল্টো দাবি করছে নিহতের পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, পুলিস এনআরএস- থেকে দেহ কেন তাঁদের হাতে তুলে দিল না? কেন দেহ রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে যেতে দেওয়া হল না?  তাঁদের আরও অভিযোগ, পুলিস রাতের অন্ধকারে দেহ এনআরএস-এর মর্গ থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবার। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালেই এনআরএস হাসপাতালে যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। সঙ্গে থাকছেন পরিবারের সদস্যরাও।


টিউশন থেকে ফেরার পথে অ্যাসিড হামলা, ভরসন্ধেয় ঝলসে গেল নবম শ্রেণির ২ ছাত্রী


মৃত স্বরূপ গড়াইয়ের দাদা অনুপ গড়াই বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম মঙ্গলবার হাসপাতালে বডি নিতে যাব। কিন্তু পরে সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছি পুলিস রাতেই বডি নিয়ে চলে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে বডি নিতে যাব। না পেল আইনের আশ্রয় নেব।’ আর ঠিক এখানেই বেঁধেছে দ্বন্দ্ব। পুলিসের দাবি, পরিবারের সদস্যরা এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ সোজা রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। দেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে দেহ নিতে অস্বীকার করেন পরিবারের সদস্যরা।


এদিকে দেহ হাতে না পাওয়ার অভিযোগ তুলে, আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সবমিলিয়ে নানুরের নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে প্রশাসন-পরিবারের টানাপোড়েন তুঙ্গে।