Malda: রিল বানানোর জন্য হাতে পিস্তল! বন্ধুর হাতেই বন্ধু খুন...
Malda: খেলতে খেলতে হঠাৎই বিকটক শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এরপরই প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে সামিউলের ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। দেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালদা জেলার কালিয়াচকে গুলি কাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম সাফি আলী। গুলিতে মৃত অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সামিউল ইসলামের বন্ধু সাফি। তদন্তকারী পুলিস কর্তা জানান সেভেন এম এম পিস্তল নিয়ে মৃত ছাত্র সামিউল ও তার বন্ধু সাফি রিল বানাচ্ছিল। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। তদন্তকারী পুলিস কর্তা জানান বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় বাড়িতে সামিউল ও তার বন্ধু সাফি আলী নিয়ে বাড়িতে ছিল। বাড়ির ছাদে রিল বানাচ্ছিল। তারই প্রপস হিসাবে তারা কাজে লাগিয়েছিল সেভেন এমএম পিস্তল।
খেলতে খেলতে হঠাৎই বিকটক শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এরপরই প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে সামিউলের ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। দেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। তড়িঘড়ি সামিউলকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় সিলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মাথায় বুলেটের চিহ্ন দেখে ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে ধন্দে পড়ে পুলিস কর্তারা। এরপর শুরু হয় তদন্ত। কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায় চৌধুরী নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। সামিউলের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তা খতিয়ে দেখে পুলিস জানতে পারে সে রিলস বানাতে পারদর্শী ছিল।
আরও পড়ুন:Bardhaman: স্কুল মা, পড়ুয়ারা সন্তান! সম্পর্কের অন্য ছবিতে বর্ধমানে জিয়া নস্টাল...
তদন্তকারী পুলিসকর্তা জানান, সাফি আলী তার বন্ধু সামিউল ইসলামের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে গুলি চালায়। গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় অষ্টম শ্রেনী ছাত্র সামিউল ইসলাম। মৃত ছাত্রের বাবা রাজীকুল ইসলাম কালিয়াচক থানায় এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্তকারী পুলিস কর্তা জানান ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার তৈরি ইম্প্রোভাইজড সার্ভিসেবল কান্ট্রি মেড ৭ মিমি স্বয়ংক্রিয় ম্যাগাজিন ফায়ার আর্মস যা লোহার বাট, বডি, ব্যারেল, ট্রিগার, হাতুড়ি এবং রক্তের দাগ সহ একটি গোলাবারুদ দিয়ে বোঝাই ফায়ারিং পিন সমন্বিত দৈর্ঘ্য প্রায় 08 ইঞ্চি। আরও পাওয়া যায়, রক্তের দাগ সহ একটি কম্বল নীল এবং কালো রঙ। তারপর রক্তের দাগ-সহ একটি গোলাপী রঙের বিছানার চাদর। এছাড়াও একটি মোবাইল হ্যান্ড সেট সাদা রঙের বক্স (ডন গোল্ড) VIVO Y-35 এবং একটি বুলেট হেড প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে তার দ্বারা শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে কিশোরদের কাছে কিভাবে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আসল সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিস কর্তারা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)