নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের অল্পের জন্য পুলিসের হাতছাড়া বিমল গুরুং। আজ দার্জিলিংয়ে গুরুং অনুগামীদের সঙ্গে পুলিসের গুলির লড়াই বাঁধে। নিহত হন এক পুলিস কর্মী। আহত আরও অনেকে। দেহরক্ষীদের কভার ফায়ারিংয়ের সুযোগে সিকিমের দিকে পালান বিমল গুরুং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের কাছে খবর ছিল, পাহাড়ে অস্ত্র জড়ো করতে, বিমল গুরুং তাঁর সিকিমের ডেরা থেকে সঙ্গীদের নিয়ে দার্জিলিঙে ঢুকছেন। রাত থেকেই রঙ্গিত নদীর আশপাশ ঘিরে ফেলেন উর্দিধারীরা। শুরু হয়ে যায় চোর-পুলিস খেলা। মাঝিটাড়ের কাছে বাদামতাম চা বাগানের নীচে, লিম্বু বস্তি এলাকায় দু-পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই বেঁধে যায়।


পুলিস সূত্রে খবর, পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা জায়গায় নানা ক্যাম্পে লুকিয়ে ছিলেন বিমল গুরুংয়ের অনুগামীরা। পাতলেবাসের দিক থেকে এগিয়ে ভোররাতেই ক্যাম্প ঘিরে ফেলে পুলিস। তখন ওই এলাকাতেই পাহাড়ি বস্তিতে ছিলেন বিমল গুরুং। সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জন দেহরক্ষী। দার্জিলিঙের SP-র নেতৃত্বে বাহিনীতে ছিলেন প্রায় ১০০ জন। পৌনে ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পুলিসের সঙ্গে গুরুং অনুগামীদের গুলির লড়াই চলে। তাদের কভার ফায়ারিংয়ের সুযোগে মোটরবাইকে সিকিমের দিক পালান বিমল গুরুং।



পালিয়ে যান প্রকাশ গুরুং, প্রবীণ সুব্বা-রাও। লিম্বু বস্তি এলাকায় পাহাড়ের নানা ক্যাম্প থেকে চিনা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র আধঘণ্টা দূরে সিকিম। টানা গুলির লড়াই থামার পর, বেলা ১২টা পর্যন্ত অভিযান চললেও আর বিমল গুরুংয়ের খোঁজ পায়নি পুলিস। তাঁর ১ দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করে গুরুংয়ের ডেরার হদিশ পেতে চাইছে পুলিস।


আরও পড়ুন, 'এনআইএ তদন্ত হোক', পাহাড়ে পুলিস কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দাবি বিনয়ের