অর্নবাংশু নিয়োগী: রবিবার ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। বেড়মজুরে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিস কর্তারা। এলাকার মহিলারা পুলিসের সামনে শাড়ি ও শাঁখা তুলে ধরে বলেন, এসব পরে বসে থাকুন। আমরা শাহজাহানকে ধরব। পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে একপ্রকার ঘেরাও করে রাখলেন মহিলারা। পুলিস না থাকলে বড় কোনও গোলমালও হতে পারত। তাড়া খেয়ে অজিত মাইতি আশ্রয় নেন এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে। গেট লাগিয়ে দিয়ে কাঁপতে থাকেন অজিত মাইতি। প্রাণপণে একের পর এক ফোন করতে থাকেন আতঙ্কিত অজিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বাংলার গর্জন কি, ১০ মার্চ কলকাতায় ট্রেলার দেখবে বাংলা বিরোধীরা'!


দিনভর জনরোষে আটক থাকার পর সন্ধেয় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতে উদ্ধার করে আটক করল পুলিস। এলাকার মহিলাদের বিক্ষোভে পড়ে স্থানীয় সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নেন অপসারিত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতি। রবিবার তাকে ধাওয়া করে স্থানীয় মানুষজন। প্রাণ ভয়ে সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন অজিত মাইতি। নিজেই গেটে তালা লাগিয়ে বসে থাকেন। গ্রামবাসীরা দাবি করতে থাকেন তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হোক অজিতকে। প্রসঙ্গত, গ্রামের বহু মানুষের জমি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অজিতের বিরুদ্ধে।


রবিবার স্থনীয়দের তাড়া খেয়ে ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আটকে ছিলেন অজিত মাইতি। সংবাদমাধ্যমের কাছে বারবার দাবি করতে থাকেন, তিনি নির্দোষ। তবে দুর্নীতি হয়েছে। দল ছেড়ে দেব। কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পুলিস সূত্রে খবর আটক করার পর তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।


এদিন, বেড়মজুরে গিয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। সেখানেই গিয়েছিলেন অজিত মাইতি। বাড়ি ফেরার পথে তাকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়ি ঢুকে কোলাপসিবল গেট টেনে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর একের পর এক ফোন করতে থাকেন। কেউ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। আর বাইরে তখন বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডব। গেটের ভেতর থেকেই বলতে থাকেন, গেটের কাছে যাব না। ওদিকে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে। কারও জমি আমি দখল করিনি। রাজনীতির সূত্রে আমি শেখ শাহজাহানকে চিনি। এলাকার মানুষকে মারধর করার যে অভিযোগ উঠছে তা একেবারেই মিথ্য়ে। এভাবেই গোলমাল চলছে থাকে। সন্ধের দিতে তাকে বের করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)