নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্লু অনেক। কিন্তু জটও প্রচুর। ব্যান্ডেলে বৃদ্ধা খুনে এখনও অন্ধকারে পুলিস। অ্যান্টিক সম্পদ, টাকা, নাকি সম্পত্তি? কী কারণে খুন করা হল অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকাকে? উত্তর হাতড়াচ্ছেন গোয়েন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপরাধী যত বড়ই হোক না কেন, ক্লু সে রেখে যায়। এই আপ্ত বাক্য মেনেই ব্যান্ডেলের কাজিডাঙায় বৃদ্ধা খুনের তদন্তে নামে পুলিস। কিন্তু রহস্য যে তিমিরে ছিল, এখনও সেই তিমিরেই রয়েছে। সুলেখা মুখার্জির দেহের পাশে পড়েছিল শিলনোড়া, ছুরি ও গ্লাভস। গ্লাভস প্রমাণ করে দুষ্কৃতী  যথেষ্ট পাকা হাতের খুনি। বাড়ির একটা আলমারিও জোর করে ভাঙা হয়নি। সব আলমারি খোলা হয়েছিল নির্দিষ্ট চাবি দিয়ে। যা থেকে প্রমাণ হয় আততায়ী ঘরের খুঁটিনাটি জানত। খুব পরিচিত না হলে চাবির অবস্থান সম্পর্কে এত নিপুণ তথ্য কারও কাছে থাকা সম্ভব নয়।


গোড়া থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ ছিল, খুনের পিছনে পরিচিত মুখ কাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুলেখা মুখার্জির দুই পরিচারিকাকে। গোর্খা পাসোয়ান নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঠাওর করা যাচ্ছে না কীসের জন্য খুন হলেন মহিলা? কয়েক কাঠা জমির ওপর দোতলা বাড়িতে একাই থাকতেন অবিবাহিত সুলেখা দেবী। তাহলে কি জমি আর সম্পত্তি হাতাতে খুন?


দোতলায় রয়েছে বাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা। আততায়ী এসেছিল ছাদের দরজা দিয়ে। অসুস্থ সত্তোরোর্ধ্ব সুলেখাদেবীর পক্ষে বাধা দেওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু শুধু অ্যান্টিক সামগ্রী নেওয়ার মতলব থাকলে দুষ্কৃতী ওপরে অপারেশন চালিয়ে চলে যেতে পারত। তাহলে সুলেখাদেবীর নীচেতলার শোওয়ার ঘরে সে হানা দিল কেন? কেন শোওয়ার ঘরে ব্যাঙ্কের কাগজ, চেক বই টেবিলে ছড়ানো অবস্থায় পড়েছিল? তাহলে কি খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল দুষ্কৃতী?


বাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা থেকে কিছু খোয়া গিয়েছে কিনা, পুলিস সে সম্পর্কে নীরব। সুলেখাদেবীর সঙ্গে গবেষণার কাজে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কী খোয়া গিয়েছে এখনও সেটাই স্পষ্ট নয়। তাই কেন খুন সেটাও অন্ধকারে।


আরও পড়ুন, নগ্ন ছবিতে স্কুল-কলেজ ছাত্রীর মুখ! আতঙ্কে জগাছা