নিজস্ব প্রতিবেদন:  বিয়েবাড়িতে আত্মীয়রা খেতে বসে গিয়েছেন। বরও উপস্থিত। সামনা-সামনি বসে বর কনে। কাজির উপস্থিতিতে শুধুই  নিকাহ-নামা উচ্চারিত হওয়ার অপেক্ষা।  আচমকাই পুলিসের  গাড়ির সাইরেন। বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতরা একে অপরের  মুখ দেখছেন।  চোখমুখ শুকিয়ে গিয়েছে পাত্রীর বাবা! তিনি তো জানেন তাঁর ‘অপরাধ’টা। নাবালিকা মেয়েকেই যে বিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিস প্রশাসনের  তত্পরতায় আটকে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর আনন্দবাদ গ্রাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বর কাজে যাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে বাথরুমে যান মহিলা, তারপর তাদের যে অবস্থায় দেখলেন প্রতিবেশীরা...


নাবালিকা মেয়েটি মহেশপুর যশোদা বিদ্যাপিঠের দশম শ্রেনীর ছাত্রী । নাবালিকার বাবা পেশায় মত্স্যজীবী ।তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে এই মেয়ে দ্বিতীয়। ৩নং ভরতগড়ের বাসিন্দা আলিম মোল্লার ছেলে নাসির মোল্লার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন তিনি।  পাত্র সেলাইয়ের কাজ করেন । সোমবার ছিল বিয়ের দিন।


আরও পড়ুন: বাড়িতে খুশির আবহ, প্রেমিককে বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তেই পাত্রীকে যে অবস্থায় দেখা গেল!


 গোপন সূত্রে  খবর পৌঁছে যায় ক্যানিং চাইল্ড লাইনের কাছে ।  ক্যানিং চাইল্ডলাইন থেকে যোগাযোগ করা হয় বাসন্তি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সত্যব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তাঁর নির্দেশে বাসন্তী থানার পুলিশ চাইল্ড লাইনকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বিয়েটি বন্ধ করা দেয় । ক্যানিং চাইল্ড লাইনের সদস্য বান্টি মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকারের দেওয়া কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্প সত্ত্বেও নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না।  তা সত্যি দুশ্চিন্তার বিষয় । মানুষকে আর ও সচেতন করতে হবে ।”