নিজস্ব প্রতিবেদন : দশমীর দুপুর মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে খুন হন একই পরিবারের তিনজন। বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় স্বামী, স্ত্রী ও ছয় বছরের শিশুসন্তানের ক্ষতবিক্ষত দেহ। কে খুন করল গোটা পরিবারকে? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের সন্দেহের তির এক 'তৃতীয় ব্যক্তির' দিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দশমীর দুপুরে বাড়ির মধ্য থেকেই উদ্ধার হয় পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল ও তাঁদের ৬ বছরের ছেলের নিথর দেহ। জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগান এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন প্রকাশ পাল। একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খুনের ঘটনায় তদন্তে নামে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস।


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, এক 'তৃতীয় ব্যক্তির' উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই চিড় ধরেছিল দাম্পত্যে। ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির আঁচও পাওয়া গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মোবাইলের কললিস্ট ও মোবাইল থেকে পাওয়া কিছু ছবি। খুনের পিছনে ওই ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তির বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটের দিকে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।


পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, পেশায় শিক্ষক প্রকাশ পাল সাগরদিঘিতে থাকার সময় স্থানীয় একজনের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ধার করেছিলেন। সেই নিয়ে সমস্যা তৈরি হতেই বছর দেড়েক আগে তিনি সপরিবারে সাগরদিঘি থেকে জিয়াগঞ্জে চলে আসেন। খুনের ঘটনার সঙ্গে এঘটনার কোনও যোগ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিস। একইসঙ্গে পুলিস আরও মনে করছে, কোনও পরিচিত ব্যক্তিই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। খুনের আগে মাদক অথবা কোনও নেশার সামগ্রী খাওয়ানো হয়েছিল সবাইকে। অচৈতন্য অবস্থাতেই খুন করা হয় তিনজনকে।


আরও পড়ুন, পুজোয় নতুন জামা নিয়ে বিবাদের জেরে ১২ বছরের ছেলেকে খুনের চেষ্টা মায়ের


ঘটনাস্থল থেকে হাতে লেখা একটি নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। নোটটি নিহত বিউটি পালের লেখা বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান। এই নোট দেখেই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের বিষয়টি পুলিসের সামনে এসেছে। এছাড়া ঘর থেকে একটি ডায়েরিও উদ্ধার করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই ডায়েরিটিও। সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্তের জাল গুটাতে চাইছে পুলিস। জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস আশাবাদী, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেই খুনের কিনারা করে ফেলা সম্ভব হবে।