প্রসেনজিত্ মালাকার: বিধানসভা ভোট পরবর্তী আশান্তির জেরে বীরভূমের ইলামবাজারে খুন হন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। ওই ঘটনার তদন্তে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাম রয়েছে ২৮ জনের। তালিকায় ছিলেন ইলামবাজার তৃণমূল পরিচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রবি মুর্মুরও। সোমবার বোলপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন রবিবাবু। ওই মামলায় ইতিমধ্য়েই জামিন পেয়েছেন ২৪ অভিযুক্ত। ওই ঘটনায় ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ নেতা ফজলুর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গত ৫ দুন তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। আত্মসমর্পণ করার জন্য আজ বোলপুর আদালতে হাজির হন রবি মুর্মু। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে জামিন দেন বিচারক।  এনিয়ে রবির আইনজীবী সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়, রবি মুর্মুর সরাসরি নাম দেওয়া হয়নি। এমনকি খুনের ঘটনায় তার নাম নেই।। শুধুমাত্র সেলটার দেওয়ার জন্য তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।। ইতিমধ্যে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। তার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা প্রমাণ করা যাবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কামব্যাক করে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে 'লক্ষ্য ভেদ', প্রথম সোনা জিতে নজির গড়লেন লক্ষ্য সেন 


২০২১ সালে বিধানসভা নির্বচনের ফলাফল প্রকাশের দিনই ইলামবাজারের গোপালনগরে খুন হন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত নামে সিবিআই। সিবিআই ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে গত ৫ জুন ফজলুর রহমান বলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করব। অনুব্রত মণ্ডলের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকেও ডাকা হয়েছে।


ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় বীরভূমের একাধিক তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ইলামবাজার তৃণমূল ব্লক সভাপতির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ময়ূরেশ্বরে বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ রায়কেও। গত ৬ জুন দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্প হাজিরা দেন অভিজিত্ রায়। এদিন তাঁর সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন সিবিআই আধিকারীকরা। সিবিআইয় হাজিরা শেষে অভিজ্ত রায় বলেন, ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে তাঁকে কিছু প্রশ্ন করেছে সিবিআই। এছাড়াও ভোটের ফলপ্রকাশের পরদিন কেন তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন তাও তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)