নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার। কোথাও লেখা, 'বালি চোর বিধায়ক।' কোথাও আবার লেখা, 'বালি চোর এমএলএ আর নাই দরকার।' সোমবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানা এলাকায় এরকমই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। কোথাও বিধায়কের নাম লেখা নেই। বিধায়কের নাম না করে এই পোস্টার দিয়েছে পাণ্ডবেশ্বর নাগরিক মঞ্চ। পোস্টারগুলি নজরে আসা মাত্রই পুলিস গিয়ে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tewari) নাম করে কম্পিউটারে ছাপা পোস্টার লাগানো হয়েছিল। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল দেখা দিয়েছিল। আজ সকালে ফের সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই এলাকার রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল-বিজেপি পোস্টার ইস্যুতে একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে।


বিজেপি জেলা সম্পাদক সৃদীপ চক্রবর্তী বলেন, "পাণ্ডবেশ্বরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল। এখানকার বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও কাজ করেনি। স্বাভাবিক কারণে মানুষ বলছে। আর পাণ্ডবেশ্বরে দীর্ঘদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছে। প্রতিনিয়ত তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। নির্বাচন অবধি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই খেলা চলতে থাকবে।"


অন্যদিকে, তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, "গতকাল লাউদোহায় একটা বাইক মিছিল হয়। যেখানে বিধায়কও ছিলেন। আমিও ছিলেন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। এখন বিরোধীরা হয়তো এটা সঠিকভাবে নিতে পারছেন না। বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই, সংগঠন নেই। খালি নাটক করার জন্য বিধায়কের নামে এরকম পোস্টার দিচ্ছে। দলের কারোও মদত আছে বলে আমার মনে হয় না। সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত।"


প্রসঙ্গত, 'ঘর ওয়াপসি'র পরেও দলের জেলা কমিটিতে জায়গা পাননি জিতেন্দ্র তিওয়াপি। তৃণমূলের (TMC) হয়ে যখন ফের স্বমহিমায় ময়দানে নামার চেষ্টা করছেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari), তখনই 'এই বিধায়ক আর নয়', 'কয়লাচোর বিধায়ককে মানছি না, মানব না'- পাণ্ডবেশ্বরে এমন পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যদিও এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।


আরও পড়ুন, 'ভয়ঙ্কর খেলা হবে, সাইডলাইনে বসে দেখুন', গরম চা হাতে দিলীপের হুঁশিয়ারি