হকারদের টিকা দেওয়া হচ্ছে TMC নেতা-কর্মীদের, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ `আমরা বামপন্থী`-র
মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকের কাছেও অভিযোগপত্র পেস করে এই ঘটনার তদন্ত করার আবেদন জানাব, দাবি সংগঠনের
নিজস্ব প্রতিবেদন: হকার ও পরিবহণ কর্মীদের জন্য বরাদ্দ টিকা পেয়ে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা! এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার 'রেলশহর' খড়্গপুরে।
শহরের 'আমরা বামপন্থী' নামক এক সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিল দাস বলেন, 'শাসকদলের নেতারা লিখে দিলেই ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে শাসক ঘনিষ্ঠদের। প্রকৃত হকার ও পরিবহণ কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ এক মারাত্মক অপরাধ! টিকার অভাবে মারা যাবেন, রাস্তার ধারে ব্যবসা করা, গাড়ি চালানো প্রকৃত হকার ও পরিবহণ কর্মীরা। খড়্গপুরের সর্বত্র এই টিকা দুর্নীতি চলছে! আমরা এর বিরুদ্ধে পোস্টারিং করেছি। স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানিয়েছি। মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকের কাছেও অভিযোগপত্র পেস করে এই ঘটনার তদন্ত করার আবেদন জানাব।"
আরও পড়ুন-রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কমল করোনায় মৃতের সংখ্যা, আশাবাদী চিকিৎসকরা
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে খড়্গপুর(Kharagpur) পৌরসভার পৌর প্রশাসক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরিবের সরকার। প্রতিটা কাজ হচ্ছে গরিবের জন্য। এখানে কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি! সিপিআইএম কোনদিনই গরিব মানুষের কথা ভাবেনি, তাই দলটাই আজ সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। ৫০ বছরের ইতিহাসে যারা নিজেদের একজন বিধায়ককে জেতাতে পারেনি, তাদের অভিযোগের কোন উত্তর দেওয়াটাই অপ্রাসঙ্গিক।"
প্রসঙ্গত, বিশেষ কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যাদের দৈনন্দিন সম্পর্ক, তাঁদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এই তালিকায় আছেন,হকার ও বেসরকারি পরিবহণ কর্মীরা।
আরও পড়ুন-'সাবালকের ব্যর্থতা দেখে নাবালককে আসতে হয়েছে', নাম না Suvendu-কে নিশানা Abhishek-র
'আমরা বামপন্থী' সংগঠনের অভিযোগ, হকার ও পরিবহণ কর্মীদের ভাগের টিকা নিয়ে নিচ্ছেন শাসকদলের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও ঘনিষ্টরা। এই অভিযোগের বিষয়ে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (হিরন) বললেন, "এই অভিযোগ আমাদেরও কানে এসেছে। আমরা তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী জানার চেষ্টা করব কাদের টিকা দেওয়া হল। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকেও চিঠি দেব। কোভিড ভ্যাকসিন এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, আর তা নিয়ে দুর্নীতি কোনভাবেই মেনে নেব না। আপাতত আমরা দলীয়ভাবে মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকের কাছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানাব।" এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।