নিজস্ব প্রতিবেদন: তীরে এসে ডুবল তরী। অকাল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় বাঁকুড়া জেলার হাজার হাজার আলুচাষী। চলতি বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় আলুর বাম্পার ফলেন আশঙ্কা করেছিলেন চাষিরা। চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাজ্যবাসীকে বেশি করে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মরশুম শেষে নাগাড়ে বৃষ্টি এলোমেলো করে দিল সব। ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত চাষিদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



রাজ্যের আলু উৎপাদনে  হুগলি ও বর্ধমান জেলার পরেই রয়েছে বাঁকুড়ার । জেলার জয়পুর , কোতুলপুর , ইন্দাস , পাত্রসায়ের , সোনামুখী , বড়জোড়া , ওন্দা, তালডাংরা, সিমলাপাল , সারেঙ্গা ও রাইপুর ব্লকে ব্যাপক আলু উৎপাদন হয় । অধিকাংশ চাষি সমবায় সমিতি অথবা মহাজনের কাছে মোটা অঙ্কের ঋন নিয়ে এই আলু চাষ করেন । এবছর শুরু থেকেই আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূল থাকায় নিশ্চিন্তে ছিলেন চাষিরা। কৃষি দফতরের হিসাব অনুযায়ী এবছর বাঁকুড়া জেলায় ৫২ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল ।


‘উইং কমান্ডার অভিনন্দন গোটা দেশের গর্ব’


আলুর দাম না-থাকলেও ফলন ভালো হওয়ায় লাভের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিলেন জেলার চাষিরা । কিন্তু মরশুম শেষ হওয়ার মুখে গত কয়েকদিনের টানা ঝড় ও শিলা বৃষ্টি চাষিদের সেই আশায় জল ঢেলেছে। আলু তোলার ঠিক আগে একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বহু আলু ক্ষেতে জল জমে গিয়েছে । অনেক জায়গায় শিলাবৃষ্টিতে আলু গাছের বেশ ক্ষতি হয়েছে । ক্ষতি এড়াতে অনেক চাষি আগাম আলু তুলে নিচ্ছেন । অনেকে হাল ছেড়ে দিয়ে মাঠের আলু মাঠেই রেখে দিয়েছেন । 


জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনের ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে প্রায় ৩ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । কীভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো যায় তার চিন্তা ভাবনাও শুরু করেছে জেলা কৃষি দফতর।