Bardhaman: Bardhaman: বীজ আগুন, দোসর সারের `কালোবাজারি`! অগ্নিমূল্য আলু নিয়ে ক্ষোভ কৃষকমহলে...
Bardhaman Potato Price Hike: গত বছর যে জ্যোতি আলুর বীজের দাম ছিল ১৭৫০ টাকা, এবার তা হয়েছে ৩৫০০ টাকায়! অন্য দিকে চন্দ্রমুখী আলুর বীজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০০ টাকায়, যেখানে গত বছর এক বস্তা বীজের দাম ছিল ২৩০০ টাকা!
অরূপ লাহা: আলুর বীজে আগুন! সঙ্গে দোসর সারের কালোবাজারি। রীতিমতো জাঁতাকলে পড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের আলু চাষিদের। এমনিতেই বৃষ্টির জন্য আলু বসানোর মরশুম এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে। তার উপর এখন চাষিদের আলু বীজ কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। তাতেই নাভিশ্বাস উঠেছে আলু চাষিদের। এখন জোরকদমে জেলার কমবেশি সব জায়গাতেই আলু বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাধ সাধছে বীজের দাম।
গত বছর যে জ্যোতি আলুর বীজের দাম ছিল ১৭৫০ টাকা। এবার তা হয়েছে ৩৫০০ টাকায়! একেবারে দ্বিগুণ। অন্যদিকে চন্দ্রমুখী আলুর বীজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০০ টাকায়। যেখানে গত বছর এক বস্তা (৫০ কেজি) বীজের দাম ছিল ২৩০০ টাকা!
বড়শুল গ্রামের আলু চাষি পার্থ সরকার বলেন, আলু বীজের দাম তো এবার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি সারও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। এনপিকে সারের দাম ১৪৭০ টাকা, কিন্তু আমাদের কিনতে হচ্ছে ২০০০ টাকায়। কার্যত এক বস্তা এনপিকের সঙ্গে নিতে হচ্ছে অনুখাদ্য, ন্যানো, ইউরিয়া ও সালফার। এসব না নিলে দোকানে রাসায়নিক সার বিক্রি করছে না। অন্য দিকে, সোসাইটিতে ১৯৮০ টাকায় নিতে হচ্ছে এক বস্তা এনপিকে। তবে সেখানে ২ বস্তা অন্য সার কিনতে হচ্ছে। দাম বেড়েছে হেমাঙ্গিনী প্রজাতির আলু বীজের। এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৪২০০ টাকা দরে। গত বছর এক বস্তার দাম ছিল ২০০০ টাকা।
আলু ব্যবসায়ী বিষ্ণু দত্ত বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় বীজের জোগান কম। তাই চাষিদের চড়া দামে বীজ কিনতে হচ্ছে। আলুচাষি পার্থ সরকার বলেন, বিঘে প্রতি আলু চাষে উৎপাদন-খরচ এবছর মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। বিঘেয় খরচা হবে গড়ে ৩০০০০ হাজার টাকা। একই কথা বলেন আলু চাষি দীপঙ্কর সরকার। তিনি বলেন, চাষিদের আলু বীজ কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। আবার সারের দামও বেশি।