Suvendu Adhikari: পুলিস মমতার লেঠেল; রাজ্যে ৩৫৫ ধারার পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর, সুকান্ত বললেন অন্য কথা
Suvendu Adhikari:শুভেন্দু অধিকারীর ওই ভিডিয়ো ফাঁস হওয়ার পরই তৃণমূল সুর চড়িয়েছে। শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী আসলে রাজ্য একটি হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। ভোটে তৃণমূলেরও বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। শুভেন্দুই হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ট্যুইট করেছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। সেখানে বিরোধী দলনেতা বলছেন, এমন পরিবেশ এখানে তৈরি করতে হবে যাতে ৩৫৫ ধারার প্রয়োজন হয়। আমি জানি কী ভাবে তা করতে হয়। ওই মন্তব্যর পর ফের একবার ৩৫৫ ধারা জারির পক্ষে সওয়াল করলেন বিরোধী দলনেতা। ওই ধারা লাগু করে পুলিসের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক বলে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-ভোট সন্ত্রাসের পেছনে কার হাত, ভিডিয়ো ট্যুইট করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি ডেরেকের
অন্যদিকে, আজ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিল্লি থেকে ফিরে ৩৫৫ ধারা নিয়ে বলেন, 'বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি প্রশাসানিক পদক্ষেপ। ৩৫৫ ধারা লাগু করার মতো পরিস্থিতি হয়েছে কিনা তা একেবারেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবেচনার বিষয়।' এরকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ফের ৩৫৫ ধারার পক্ষে সওয়াল করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার বারুইপুরে দলের আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি বলেন, ভোট সন্ত্রাস রুখতে পুলিসের যে ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল সেই ভূমিকা পুলিস নিচ্ছে না। পুলিস কার্যত শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে এরাজ্যে ৩৫৫ ধারার প্রয়োজন। গণ আন্দোলন, হরতাল, বনধের মতো কর্মসূচি নিয়ে মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে। সেইভাবেই ৩৫৫ ধারা লাগুর পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। শুভেন্দু এদিন বলেন, আমি বারেবারে বলছি, পুলিস হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপোর প্রধান লেঠেল। পুলিসের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া উচিত। ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করে পুলিসের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া যায়। আমি ওই দাবি করছি। ভবিষ্যতেও করব।
শুভেন্দু অধিকারীর ওই ভিডিয়ো ফাঁস হওয়ার পরই তৃণমূল সুর চড়িয়েছে। শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী আসলে রাজ্য একটি হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। ভোটে তৃণমূলেরও বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। শুভেন্দুই হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন। সেইভাবেই তিনি ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। তবে শুভেন্দু দাবি, বিরোধী দলগুলি আক্রান্ত হয়ে পুলিসের কাছে যাচ্ছে। এফআইআর দায়ের করতে চাইছেন। কিন্তু তা তারা পাচ্ছেন না। পুলিস নিরপেক্ষ ভূমিকা ছেড়ে একটি দলের হয়ে কাজ করছে। এবার ভোটে পুলিসকে দিয়েই কারচুপি করতে হবে। তবে মানুষকে রাস্তায় নেমে ৩৫৫ ধারার দাবি জোরদার করতে হবে। ব্যাপক গণ আন্দোলনের মধ্যে ৩৫৫ ধারা জারির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন লোডশেডিংয়ের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর রাজনৈতিক জমি আলগা হয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ে জিতে তিনি অহংকার করতেন। জেলা পরিষদে তিনি ১১ হাজার ভোটে নিজের বিধানসভায় হেরেছেন। তিনি যা বলছেন তা তাঁর দলের নেতারাই সমর্থন করছেন না। এখন অসাংবিধানিক কথা বলছেন। আমি ওঁকে চ্যালেঞ্জ করছি। বাংলারা মানুষের রায়তো আপনি বুঝে গিয়েছেন। এখন যদি হিম্মত থাকে তাহলে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করে দেখান। জনপ্রতিরোধ কাকে বলে তা বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, এনিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরাজ্যে এখন রাস্তায়ঘাটে মানুষ বলছেন এই পুলিসকে দিয়ে এরাজ্যে মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষা করা যাবে না। এই পুলিস মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।