ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রান্তিক চাষিদের কাঁধে খরচের বোঝা চাপাল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর। প্রতিবাদে কেন্দ্রকে কড়া চিঠি রাজ্যের। প্রান্তিক চাষিদের স্বার্থ কোনওভাবেই ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। স্পষ্ট বক্তব্য রাজ্যের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শীতকালীন চাষে সেচের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে নতুন প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্র। বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেও অনেকসময়ই শীতকালে বোরো চাষ করতে সমস্যায় পড়েন চাষিরা। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় শীতে জলসেচের ব্যবস্থা নেই। ফলে, বছরের একটা বড় অংশ চাষজমি ফাঁকা পড়ে থাকে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে নতুন প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনা। সেচের জলের অভাবে চাষিদের ধান, সবজি, ডাল-সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষের সমস্যা দূর করতে সেচের প্রয়োজন। জলের জোগান দিতে বর্ষার জল ধরে রাখা এবং সেই জলের সদ্ব্যবহার করে বছরে একাধিকবার ফসল ফলানোই এর উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে কৃষকদের কম জল ব্যবহার করে বেশি ফসল ফলানোর কথাও বলা হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনা


প্রত্যেক জমিতে চাষের জলের জোগান। এক ফোঁটায় আরও শস্য এই প্রকল্পের স্লোগান। 
২০১৬-১৭-য় ২৮.৫ লক্ষ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা হবে। অতিরিক্ত ১৪০ লক্ষ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনতে ৫ বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। ২০১৬-১৭-য় ২৩টি সেচ প্রকল্পে খরচ করা হবে ১২,৫১৭ কোটি টাকা। কিন্তু এই প্রকল্প নিয়েই এবার অদ্ভুত আবদার ধরল কেন্দ্র। 


আগে প্রকল্প রূপায়ণে ৯০ শতাংশ টাকা দিত কেন্দ্র। বাকি ১০ শতাংশ দিতে হত রাজ্যকে। কিন্তু এবার প্রান্তিক চাষির কাঁধেও খরচের ভার চাপিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। প্রকল্প রূপায়ণে ৬০ শতাংশ দেবে কেন্দ্র, ২০ শতাংশ দেবে রাজ্য এবং বাকি ২০ শতাংশ খরচ জোগাতে হবে প্রান্তিক চাষিকে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্য। তাদের দাবি, গরিব চাষিদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে রাজ্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মাথাচাড়া দিয়েছে কৃষক-বিক্ষোভ। একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের ভ্রান্ত কৃষক-নীতিই এর কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর ওপর প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনায় প্রান্তিক চাষির ওপর খরচের বোঝা চাপিয়ে মোদী সরকার আরও একটা ভুল করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।