নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিক ৬ বছর আগে। তিনিই ছিলেন মূল কান্ডারী। তাঁর তৈরি স্ট্র্যাটেজিতে ভর করেই দেশজুড়ে উঠেছিল মোদী ঝড়। বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপি। UPA সরকারের অবসান ঘটিয়ে দিল্লির তখতে বসেছিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী (Narendra Modi)। মোদীর সেই জয়ের পরই লাইমলাইটে চলে আসেন নির্বাচনী রণনীতি গুরু প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor), সংক্ষেপে PK। তারপর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মোদীর সেদিনের রণনীতি গুরু আজ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভোটকৌশলী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বাংলায় বিজেপি বহরে বেড়ে ওঠার ইঙ্গিত মিলতেই, প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে গাঁটছড়া বাধে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের রণনীতি গুরু হিসেবে নিয়োগ করা হয় PK ও তাঁর টিম I-PAC-কে। সেইমত কাজও শুরু করে দেন প্রশান্ত কিশোর। শাসকদলের জনসংযোগে জোয়ার আনতে শুরু হয় 'দিদিকে বলো', 'বাংলার গর্ব মমতা' থেকে শুরু করে একের পর এক কর্মসূচি। এখন বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। সেই ভোটে যুযুধান দুই পক্ষ, ঘাসফুল ও পদ্মফুল। একুশের ভোটে বাংলা বিজয়ের টার্গেট নিয়েছে গেরুয়া শিবির। দুদিনের রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দাবি করেছেন, এবার ভোটে বাংলায় ২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) নাকি দুই অঙ্কও পেরতে পারবে না! যার জবাবে এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন PK।


টুইট করে রণনীতি গুরু প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) দাবি করেছেন, যতই হাওয়া উঠুক না কেন, বাংলায় দুই অঙ্ক পেরতে বেগ পেতে হবে বিজেপিকে (BJP)। রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি আরও বলেছেন, আজকের এই টুইটটা সেভ করে রেখে দিতে। যদি এর অন্যথা হয়, তবে তিনি তাঁর জায়গা ছেড়ে সরে দাঁড়াবেন।




প্রশান্ত কিশোর এই টুইট করতেই চুপ করে বসে নেই পদ্মশিবিরও। গেরুয়া শিবিরের হয়ে PK-কে পাল্টা জবাব দিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, "বাংলায় বিজেপির সুনামি চলছে। সরকার গঠনের পর এই দেশ একজন রাজনৈতিক কৌশলীকে হারাতে চলেছে।" সবমিলিয়ে জমে উঠেছে দুই শিবিরের টুইট যুদ্ধ।


আরও পড়ুন, 'বাঙালিই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন', Zee ২৪ ঘণ্টাকে স্পষ্ট জানালেন Amit Shah


'৫ বছরে সোনার বাংলা গড়ে দেব', Bolpur-এ 'শাহি শো' থেকে অমিত বার্তা