নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি রাজ্য সরকার চাইছে জনজীবন স্বাভাবিক করতে।  তাই আনলক-৪ রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে মেট্রো চালানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকার চাইছে লোকাল ট্রেন চালু করতে। সেই ভাবনা থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন চালাতে চায়। মেট্রো চালানোর ক্ষেত্রে রেলমন্ত্রকের সম্মতি পাওয়া গেলেও লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে রেলবোর্ডের তরফ থেকে এখনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লোকাল ট্রেন চালু করার চিঠি পেয়ে উদ্যোগী রেলমন্ত্রক। ট্রেন চালু হবে তার নির্দেশিকা না দিলেও ট্রেন চলার জন্য প্রতিটি স্টেশনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রেলমন্ত্রক। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনে স্টেশনে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে।


যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়াবার জন্য গোল গোল মার্কিং করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে প্রতিটি স্টেশনে জঙ্গল সাফাইয়ের কাজ এবং স্যানিটাইজের কাজ ।বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের অতিরিক্ত যাতায়াতের পথ বা ফুটব্রিজ। রেল সূত্রের খবর,  অতিরিক্ত ভিড় সামাল দেবার জন্য জেলা প্রশাসনের সাহায্য দরকার হবে। যাত্রীদের প্রতিটি স্টেশনে প্রবেশ এবং বাহির পথ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। ওই নির্দিষ্ট পথ দিয়ে যাত্রীদের থার্মাল গান দিয়ে শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই তবেই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে।

 এছাড়াও যাত্রীদের মাস্ক পড়ে এবং স্যানিটাইজার মেশিনে হাত স্যানিটাইজ করার পরই ট্রেনে উঠার অনুমতি মিলবে। রেল সূত্রে পাওয়া খবর সব স্টেশনে ট্রেন থামবে না। যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্টেশনেই লোকাল ট্রেন থামার অনুমতি দেওয়া হবে। স্টেশনের গুরুত্ব বিবেচনা হবে টিকিট এবং মান্থলি বিক্রির উপর।

আরও পড়ুন: ৫ মাস পর খুলল তারকেশ্বর মন্দির, যদিও গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ


রাজ্য সরকার এবং রেলমন্ত্রকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রেলের নিত্যযাত্রীরা। তাঁরা জানান , “অপেক্ষায় আছি কবে ট্রেন চলবে। কবে দুর্দশা দূর হবে। বাসে বা প্রাইভেট কারে যেতে যেমন অনেক টাকা খরচ হচ্ছে তেমনি অনেক সময় লাগছে। সেইসঙ্গে শারীরিক পরিশ্রম। যাত্রীরা সবাই সরকার এবং রেলের নির্দেশিকা মেনে চলতে প্রস্তুত।”