Battle of Plassey: `বিশ্বাসঘাতকে`র গ্নানি নিয়েই কাটছে জীবন! মুর্শিদাবাদে খোঁজ মিলল মীরজাফরের বংশধরের
`যুদ্ধের ফল যদি উল্টো হত, যদি মীরজাফর জিতত, তাহলে মুর্শিদাবাদের অবস্থা আরও উন্নত হত`।
রজতশুভ্র মুখোটি: ৩ ঘণ্টার যুদ্ধেই অস্তমিত বাংলার শেষ স্বাধীনতা সূর্য। মীরজাফরের ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব। 'বিশ্বাসঘাতকতা'র গ্নানি নিয়েই বংশধরদের দিন কাটছে এখনও। তাঁদের দাবি, 'যুদ্ধের ফল যদি উল্টো হত, যদি মীরজাফর জিতত, তাহলে মুর্শিদাবাদের অবস্থা আরও উন্নত হত'।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে ধরাশায়ী হলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। কেন? ইতিহাসে 'গদ্দার' হিসেবে হয়ে রয়েছেন নবাবের প্রধান সেনাপতি মীরজাফর। পলাশির যুদ্ধের পর অবশ্য় খুব বেশিদিন 'নবাবি' করতে পারেননি তিনি। অচিরেই সিংহাসনচ্যুত হন। মৃত্যুর পর বসতবাড়ি জাফরাগঞ্জ প্যালেসের কাছে কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয় মীরজাফরকে। এমনকী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী, ছেলে সেখানে শায়িত।
আরও পড়ুন: Battle of Plassey: মীরজাফর সেদিন যুদ্ধই করেননি! ষড়যন্ত্র তো করেছিলেনই: রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায়
মীরজাফরের বংশধররা এখন কোথায়? কেমন আছেন তাঁরা? একজনের খোঁজ পাওয়া গেল জাফরাগঞ্জ প্যালেসেই। তিনি জানালেন, 'যাঁরা বংশধর আছে, তাঁরা হয়তো প্রকাশ্যে আসতে চায় না। সামনে এলেই আবার বিতর্ক হবে। কে ভালো, কে মন্দ, এসবে আমরা যেতে চাইছি না। তবে, যুদ্ধের ফল যদি উল্টো হত, যদি মীরজাফর জিতত, তাহলে মুর্শিদাবাদের অবস্থা আরও ভালো হত'। মীরজাফরের বংশধরের দাবি, 'সেদিন আমাদের পতনই হয়েছিল। কিন্তু আজ যদি মীরজাফর না হত, তাহলে মুর্শিদাবাদ শহরটা কেমন হত? এই যে হাজারদুয়ারী, ইমামবাড়াতে পর্যটকরা আসছে, সেটা কিন্তু মীরজাফরের জন্যই'।
পলাশির আলোচনায় অবশ্য নানা চরিত্রেরই আনাগোনা ঘটে। সিরাজউদ্দৌলা ও মীরজাফর তো ছিলেনই, মীরকাশিম, জগৎ শেঠ-সহ আরও অনেকেই এসে হাজির হন। এমনকী, বাদ দেওয়া যাবে না মীরজাফরের জামাই মীরকাশিমকেও। তিনিও যে ইংরেজদের হাতের পুতুল হবেন, তেমনই আশঙ্কা ছিল। কিন্তু নানা দিকে নানা পুতুল বা ষড়যন্ত্রকারীদের মাঝে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মীরকাশিমই। মীরকাশিম ইংরেজদের বাড়াবাড়ি বরদাস্ত করেননি। প্রতিবাদ করেছিলেন।