প্রবীর চক্রবর্তী: নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তৃণমূলের জন সংযোগ কর্মসূচির ফাঁকে অভিষেক বলেন, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন হল বলে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের আশাআকাঙ্খা পূর্ণ হল বলে দাবি করা হচ্ছে। আর ভারতের সাংবিধানিক প্রধান যিনি তাঁকে পর্যন্ত আমন্ত্রণ করা হয়নি। কেননা তিনি জনজাতি মূলবাসী বলে। সেখানে পণ্ডিতরা, ধর্মগুরুরা, পূজারীরা ডাক পাচ্ছেন। সেই অনুষ্ঠানে বিরোধীরা নেই। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একটি টিজারও দিয়ে রাখলেন। ধীরে গণতন্ত্র না করে তিনি একনায়কতন্ত্র করতে চান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রেফার রোগ-ডাক্তাদের খারাপ ব্যবহার-অব্যবস্থা, তোপের মুখে কলকাতার ৬ সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ 


প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নারী ক্ষমতায়নের কথা বলেন। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ওইসব কথা বলছেন সেখান থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভারতের পদক জয়ী কুস্তিগীরদের টেনে হিঁচড়ে দিল্লি পুলিস নিয়ে যাচ্ছে। এর থেকে লজ্জার কথা আর কিছু হতে পারে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পা মাটিতে পড়ে না। তিনি বলছেন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আপনি সংসদ ভবন তৈরি করেছেন ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করে। সেখানে তো কিছু আলোচনাই হয় না। বিরোধীরা বলতে পারে না। মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ তিনটে অধিবেশন দেখুন। ওই বিপুল টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তৈরি করছেন, দেশের উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন তৈরি করছেন। মানুষের ছাদের টাকা বন্ধ। সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিমান কিনেছেন। তাই সাংসদ ভবন তৈরি করে লাভ কি! সেখানে কোনও আলোচনা ছাড়াই জোর করে বিল পাস করিয়ে দেওয়া হয়। 


দেশের একাধিক রাস্তা, ভবন, প্রকল্পের নাম বদল করা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বোধহয় পাল্টানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সবকিছু উনি পাল্টে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রী নোট না পাল্টে, অবস্থান না পাল্টে, পার্লামেন্ট না পাল্টা যদি নিজের দৃষ্টিভঙ্গীটা পাল্টাতেন তাহলে এই দুর্দশা দেশের হতো না। চারশো টাকার রান্নার গ্যাস আজ মানুষকে ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এই টাকা যদি গ্যাসে খরচ করা হতো তাহলে গ্যাসের এই দাম হতো না। সাংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হয় রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে। সেই রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না। এটা প্রণাম করে আপনি জনজাতিদের সম্মান করেন না। মহিলাদের সম্মান করেন না। দেশের নাম যারা উজ্জ্বল করেছে তারা আজ রাস্তায় বসে রয়েছে। তাদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গোটা দেশের মানুষ দেখছে। ইনি অনেকটা সম্রাট নিরো-র মতো হয়ে গিয়েছেন। উনি ভাবছেন যা ইচ্ছে আমি করব আর মানুষ মেনে নেবে। একটা দেশের সংসদ ভবনের যদি উদ্বোধন হয় তাহলে রাষ্ট্রপতি থাকবে, বিরোধী দলনেতারা থাকবেন, সাংসদরা থাকবেন। মন্ত্রীরা থাকবেন। তা না করে আপনি ধর্মগুরুদের ডাকছেন। তাঁদের এখানে কী ভূমিকা তা বুঝতে পারলাম না। আপনি রাম মন্দির উদ্বোধনে তাদের ডাকতে পারেন। সংসদে ধর্মগুরুদের ভূমিকা কী? এর কারণ ধর্মকে আশ্রয় করে আপনি আগামিদিনে ভোটে জিততে চাইছেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)