Jalpaiguri | Durga Puja Special: রসুন ৩৫০, ফুলকপি ১২০, আলু ৫০! পুজো-মরসুমে কপালে ভাঁজ বাঙালির!
Price Hike Jalpaiguri: বর্ষার শেষ স্পেলে তিন দিনের অতি বৃষ্টিতে দফারফা চাষবাসের। তিস্তার উপচে পড়া জলের তোড়ে সব্জি খেত শুধু নষ্টই হয়নি, চরের জমিতে পুরু বালিস্তরও পড়েছে। এখন এর উপর নতুন করে পলি মাটি না জমলে চরে আর চাষাবাদ করা যাবে না!
প্রদ্যুত দাস: দুর্যোগের কারণে জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে ব্যাপক ক্ষতি, সমস্যায় বহু কৃষক। বেশির ভাগ কৃষকই দিন যাপন করেন তিস্তার চরে কৃষিকাজ করে। তিস্তার চরে সারা বছর ধরেই চলে কৃষিকাজ। জলপাইগুড়ি শহরের গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর চর এলাকার উৎপাদিত ফসল চাহিদা মেটায় জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের অন্যান্য জেলার। এবারও শীতকালীন সবজি হিসেবে কেউ বুনেছিলেন মুলো, পালংশাক, লঙ্কা। কেউ আবার লাগিয়েছিলেন শীতকালীন পেঁয়াজ, এরই সঙ্গে বেশ কিছু কৃষক আগাম আলু চাষের জন্যও জমি তৈরির কাজ সেরে ফেলেছিলেন।
আরও পড়ুন: Hurricane Kirk: এবার ধেয়ে আসছে ভয়ংকরতম এক হারিকেন! ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি...
তবে বর্ষার শেষ স্পেলের দাপটে তিন দিনের অতি বৃষ্টিতে দফারফা চাষবাসের। তিস্তা নদীর উপচে পড়া জলের তোড়ে সব্জি খেত শুধু নষ্টই হয়নি, চরের জমিতে এক ফুট পুরু বালির স্তরও পড়েছে। বালির স্তরের উপর নতুন করে পলি মাটি না জমলে চরে আর চাষাবাদ করা যাবে না, বলছেন তিস্তা পারের কৃষকেরা।
এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে পরবর্তী দিনে জলপাইগুড়ির বাজারে আগুন দাম হবে আনাজপত্রের। তবে তার আগেই, এখন, এই পুজোর মুখে সেখানে সবজি, মাছ ও ফলের দাম আকাশচুম্বী! দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে। পুজোর আবহ চারিদিকে। তবে ভোজনরসিক বাঙালির মন এ কারণেই ভারাক্রান্ত! থলে ভরা বাজার করতে গিয়েও তা ফাঁকা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
কেমন দাম?
যেমন, আজ, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির দিন বাজারে প্রতি কেজি শশা বিকোচ্ছে ৬০ টাকা দরে, আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ভুটান আলু বিকোচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এদিকে, বেগুন ৮০ টাকা, রসুন ৩৫০ টাকা, পিঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি, করলা ৮০ টাকা কেজি, ওলকপি ৮০ টাকা, ফুলকপি তো সেঞ্চুরি পার করে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! ফলের বাজারও একইরকম। আপেল ছাড়া অন্যান্য ফলের দাম ১০০ টাকার উপরে। মাছেভাতে বাঙালির মাছেও পড়েছে কোপ। সদ্য বাজারে আসা বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশের দাম ১৭০০ টাকা কেজি। মাংসের বাজারেও দামবৃদ্ধি। মুরগি ২০০ টাকা কেজি, খাসি ৮০০ টাকা, পাঁঠা ৯০০ টাকা কেজি দর।
কিন্তু, এভাবে কেন বাড়ছে ফল-সবজির দাম?
সবজি ব্যবসায়ীদের মতে, অকাল বৃষ্টির ফলে জল জমে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে এই দামবৃদ্ধি। এবং শুধু তাই নয়, এই দামবৃদ্ধি এখানেই থামবে না, পুজোয় তা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা ফল ব্যবসায়ী, সবজি ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ীদের। এদিকে এভাবে দিনের পর দিন সবজি বাজারে দাম বাড়ায় কীভাবে পেট চলবে, তা ভেবে পুজোমরসুমে কপালে ভাঁজ মধ্যবিত্ত বাঙালির। কবে এই মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে সেই অপেক্ষাতেই এখন মুখিয়ে সাধারণ মানুষ। মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ পড়ায় বিক্রিবাটাতেও তো টান পড়েছে। অনেকেই কম পরিমাণে বাজার করছেন, যতটুকু না হলে নয়।