নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ফেস্টিভ সিজন' চলছে। প্রতি বছরই এই সময়টায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এ বছরও আছে। আর এ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে রয়েছে আমবাঙালি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্গাপুজো-লক্ষ্মীপুজো চলে গেছে। এখন বাঙালির সামনে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজোর মতো বড় উৎসবগুলি রয়ে গিয়েছে। বাজার গরম করার জন্য রয়েছে দীপাবলি ও ছট পরবও। সব মিলিয়ে বিক্রেতাদের সামনে ভাল ব্যবসার সুযোগ। কিন্তু হাসি নেই ক্রেতার মুখে।


কেন?


থাকবে কী করে? অন্তত পেটে তো খেতে হবে। আর বাঙালির খাওয়ার পাতে যাকে ছাড়া চলে না, সে-বস্তুটি হল নিতান্ত গোবেচারা আলু। অন্য আনাজ না কিনলেও বা কম করে কিনলেও আলু-পিঁয়াজ না কিনলে তার চলবে না। আর ওই আলু-পিঁয়াজ কিনতে গিয়ে নিত্য দিন বাজারে হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন বাঙালি।


বিশেষত আলুর দামটা মধ্যবিত্তকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। আলুর দাম অনেক দিন থেকেই আকাশছোঁয়া। লকডাউন-পর্ব থেকেই আলু কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছিল মধ্যবিত্তের। আনলক-পর্ব যথারীতি এসেছে ঠিকই, কিন্তু আলুর দাম নিয়ে তেমন কোনও হেরফের ঘটেনি।


পুজোর আগে পর্যন্ত জ্যোতি আলু খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৩২-৩৫ টাকা কেজি দরে। পুজো পার হতেই সেই আলুর দাম গিয়ে পৌঁছল ৪০-এর ঘরে! চন্দ্রমুখী আলু তো আরও মহার্ঘ হয়ে উঠেছে।


মানিকতলা থেকে মুর্শিদাবাদ-- বাজারমূল্য নিয়ে বাঙালির টালমাটাল অবস্থা সর্বত্র।


বহরমপুর শহরের কান্দি বাসস্ট্যান্ড বাজার, স্বর্ণময়ী বাজার থেকে সর্বত্রই আলুর দাম-- প্রতি কেজি ৪০ টাকা। কয়েকমাস আগে রাজ্য সরকার আলুর কালোবাজারি রুখতে বাজারে বাজারে অভিযান চালিয়েছিল। এবং সে সময়ে তারা আলুর দাম ২৫ টাকা কেজি দরে বেঁধে দেয়। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই আলুর দাম বাড়তে বাড়তে ৪০-এ এসে ঠেকল।


এই অবস্থা সামাল দেওয়ার কথা ভেবেই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুফল বাংলা বিপণি খোলা হয়েছে। সেখানে ২৫ টাকা কেজি দরে মিলছে আলু। বাজার থেকে প্রায় অর্ধেক দামে আলু কিনতে তাই ভিড়ও জমছে সুফল বাংলা স্টলগুলিতে।


কলকাতার বাজারগুলিতে অবশ্য এরকম বিকল্প খুব বেশি কাজে আসে না। খাঁটি উত্তর কলকাতাতেই ছোট্ট একটা এলাকার মধ্যে পাঁচ-ছ'টি বড় বড় বাজার। পাশাপাশি ছোট বাজারও কম নেই। সেখানে ক্রেতার সংখ্যাটা বিপুল। এবং এই ক্রেতাদের মধ্যে একটা বড় অংশই নিম্নমধ্যবিত্ত। যাঁদের ক্রয়ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। এই শ্রেণির পক্ষে চড়া দাম দিয়ে দিনের পর দিন আলু কেনা কঠিন হয়ে পড়ছে।


পিঁয়াজ নিয়েও বাঙালির একই রকম অবস্থা। পিঁয়াজের দাম প্রায় একশো ছুঁই-ছুঁই। দাম নিয়ে নাস্তানাবুদ বাঙালি মধ্য়বিত্ত এখন আকুল আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে কবে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে সেই দিকে।


আরও পড়ুন: আগামীকাল পিকের সঙ্গে তৃণমূলের ৩ শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হাওড়ায়