নিজস্ব প্রতিবেদন: মেদিনীপুরে মোদীর সভায় সামিয়ানা ভেঙে পড়ার ঘটনায় দায়ী রাজ্য পুলিসই। গত ১৬ জুলাইয়ের ওই ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গাউবা জানিয়েছেন ইতিমধ্যে রিপোর্ট পেশ করেছে তদন্তকারী দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মন্ত্রিসভার সচিবালয়ের নিরাপত্তা সচিব এসকে সিন্হার নেতৃত্বাধীন এই তদন্তকমিটির রিপোর্টে কী রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি দফতরের সচিব। 


কেন্দ্রের এহেন রিপোর্টে মোদীর সভায় বিপর্যয় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওই ঘটনার তদন্তে রাজ্যের তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছিল, দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না-পারাতেই ভেঙে পড়েছিল কাঠামো। সঙ্গে দায়ী করা হয়েছিল লাগাতার বৃষ্টিকে। 


সূত্রের খবর, এসপিজির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসেও। প্রধানমন্ত্রীর আসেপাশে কেউ যেন আসতে না পারে তা দেখার দায়িত্ব এসপিজির। কিন্তু তার বাইরে তাঁর নিরাপত্তার দায় রাজ্য পুলিসের। ফলে মঞ্চের বাইরে কী হচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব এসপিজির নয়। 


কেন্দ্রের তদন্তকারীদের দাবি, ওই দিন জেলার পদস্থ পুলিস আধিকারিকদের সভাস্থলে হাজির থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তাঁরা কেউই সেখানে ছিলেন না। পুলিস আধিকারিকদের এই আচরণ রাজ্যের অসহযোগিতার নজির বলে দাবি কেন্দ্রের। 


এছাড়া কেন্দ্রের দাবি, মানুষ যখন কাঠামোর খুঁটি বেয়ে ওপরে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার চেষ্টা করছিলেন তখন তাদের থামানোর জন্য ছিল না কেউ। এমনকী ওই মাঠে ৭০,০০০ মানুষের জায়গা থাকলেও ১,০০,০০০ মানুষ সেদিন ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিস কোনও ব্যবস্থা করেনি বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। 


তপশিলি আইনে সুপ্রিম রায়কে নিষ্ক্রিয় করতে সংসদে বিল আনছে কেন্দ্র


নিরাপত্তা বিধি অনুসারে এসপিজি নিরাপত্তা পান এমন প্রত্যেকের সভায় সমস্ত কাঠামো জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা। এক্ষেত্রে তাও করা হয়নি বলে অভিযোগ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের যাবতীয় আয়োজন সরাসরি থাকে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে। সেখানে দুর্ঘটনার দায় কী ভাবে তারা এড়াতে পারেন প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা নিয়েও।