নিজস্ব প্রতিবেদন : বেআইনি নির্মাণকাজে বাধা দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, বাসিন্দাদের উপর পাল্টা চড়াও হন প্রোমোটার। দুষ্কৃতী দিয়ে বাসিন্দাদের মারধর করা হয়। হুমকি দেয় ডাকাবুকো প্রোমোটার। এবার সেই প্রমোটারকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবক শেখালো সাধারণ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, "যাঁরা দূরে পড়ে আছেন আমায় চিঠি দিন, দেখি কোন নেতার কত কারসাজি?" চরম বার্তা মমতার


ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে। দমদমের শ্যামনগর ন্যাচারাল সিটি আবাসনে এদিন সকালে প্রোমোটার মহেশ শর্মা বনাম আম জনতার অশান্তিতে ধুন্ধুমার বাধে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পাল্টা প্রোমোটারের অফিসে চড়াও হন। প্রতিবাদ জানান বেআইনি নির্মাণের। এরপরই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। প্রোমোটারের লোকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা। বচসা-বিবাদ নিমেষেই মারামারিতে পরিণত হয়। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের হাতাহাতি। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।


আরও পড়ুন, মাঘে ছাদনাতলায় সানাই বাজার আগেই, মায়ের বকায় চরম সিদ্ধান্ত নিল কিশোরী


আবাসেনর বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২ বছর আগে ফ্ল্যাট বণ্টন করা হয়। কিন্ত তারপরেও আবাসনটিকে ঠিকমতো মিউটেশন করানো হয়নি। আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় দমকল থেকে শংসাপত্রও নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি আবাসিকদের আরও অভিযোগ, পার্কিং লট বাবদ ৩ বছর আগে তাঁদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৩ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও পার্কিং লট তৈরি হয়নি। বরং সেই জায়গায় অফিসঘর তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, কয়েকদিন হল আবাসনের মধ্যে একটি পানের দোকানের নির্মাণকাজও শুরু হয়েছিল।



আরও পড়ুন, বর-কনে তৈরি, মন্ত্র পড়ে চারহাত এক হওয়ার অপেক্ষা, এমন সময় বিয়েবাড়িতে ছন্দপতন


এইসব বেআইনি কাজেরই এদিন প্রতিবাদ করেন আবাসিকরা। যা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমদম থানার আধিকারিকরা। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দমদম থানার পুলিস। এদিকে, ঝামেলার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত প্রোমোটার ও তাঁর দলবল। পলাতক প্রোমোটারের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।