Purba Medinipur: গয়নার বিনিময়ে মহিলাদের দেওয়া হত টাকার বান্ডিল, `প্রতারণা`র অভিনব ফাঁদ পেতে জালে ২
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের সাত-আটজনের একটা দল রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় এই চক্র জাল বিস্তার করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার পুলিসের বড়সড় সাফল্য। প্রতারণার অভিযোগে ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিস। কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় থেকে অভিযুক্তদের পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা।
ধৃতদের নাম রাজা হালদার, বাড়ি বারুইপুর এবং লাল্টু হালদার বাড়ি কুলপি। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের সাত-আটজনের একটা দল রয়েছে। যারা পূর্ব মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলায় সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে। কীভাবে চলে প্রতারণা?
পুলিস জানিয়েছে, সাধারণত মহিলাদের টার্গেট করে চক্রটি। দলের একজন যুবক প্রথমে রাস্তা থেকে টাকার বান্ডিল কুড়িয়ে পাওয়ার নাটক করে। এরপর মহিলাদের প্রশ্ন করা হয়, ওই টাকার বান্ডিল তাঁর কি না? পরে আরও একজন এসে জানতে চায়, কেউ টাকার বান্ডিল কুড়িয়ে পেয়েছে কি না? কিছুক্ষণ পর, আগের ব্যক্তি এসে ওই মহিলাকে প্রস্তাব দেয়, ওই টাকার কোনও মালিক নেই। বরং টাকাটা তারা সকলে ভাগ করে নিক। বিনিময়ে ফাঁদ ফেলা মহিলার থেকে গয়না নেওয়া হয়। গয়না দিলে পুরো টাকার বান্ডিল তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, ওই টাকার বান্ডিলে প্রথম কয়েকটা নোট আসল, ভিতরে খবরের কাগজ মোড়া।
অভিযোগ, এভাবে ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে চক্রটি। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় এই চক্র জাল বিস্তার করেছে। শনিবার কোলাঘাট থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায় এবং অভিযান চালিয়ে হলদিয়া মোড় থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে। সুযোগ পেলে ধৃতরা ডাকাতিও করে বলে অভিযোগ। ধৃতদের থেকে একটি পিস্তল, এক রাউণ্ড গুলি, ১ লক্ষ ১১ হাজার ৮০০ টাকা নগদ, একটি ধারাল অস্ত্র এবং লোহার রড উদ্ধার করেছে পুলিস। রবিবার কোলাঘাট থানার ওসি ইমরান মোল্লা এবং এসডিপিও তমলুক সাকিব আহমেদরা জানান, ওই চক্রের বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চালছে।