মৌমিতা চক্রবর্তী: দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় এখন বন্যা চলছে। কোথাও বন্যার জল থমকে রয়েছে, কোথায় ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। জলে ডুবে অধিকাংশ জেলার সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরকম অবস্থায় লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্য়োতির্ময় সিং মাহাতর দাবি, পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি চলছে বাংলায়। ওই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি লিখলেন জ্যোতির্ময়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গণপিটুনি ছাড়া নিস্তার নেই, বিরোধীদের হুমকি দিয়ে বিতর্কে মালদহের তৃণমূল বিধায়ক


বিজেপি সাংসদের দাবি, ঝাড়খণ্ড সীমান্ত খোলার পেঁয়াজের দাম কমার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। এর কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসেবে করে পেঁয়াজের বাজারকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রধান কারণ পেঁয়াজ মজুত করা। যারা ওই কাজ করছে তাদের অধিকাংশ তৃণমূলের লোকজন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। এদের মধ্যে যারা হিমঘরগুলি ও সাপ্লাই চেন নিয়ন্ত্রণ করে তারা সীমান্ত বন্ধের সুযোগ নিয়ে  পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ছে। এটা শুধু বাজারকে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দেশের যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আইন রয়েছে তারও বিরোধী। পেঁয়াজের দাম বাড়া হল 'মমতার পেঁয়াজ দুর্নীতি'।


তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জ্যোতির্ময় সিং মাহাত আরও লিখেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাড়তি দামের সঙ্গে লড়াই করছে বাংলার মানুষ। তার উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পেঁয়াজ কেলেঙ্কারি। এটা শুধু কোনও একটি রাজ্যের ইস্যু নয়, এর প্রভাব গোটা দেশেই পড়বে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে গেলে পেঁয়াজের মজুতদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন। যারা তা করছে তাদের বিরুদ্ধে এসেনসিয়াল কমোডিটি অ্যাক্টে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বাজারে যাদের কাছে পেঁয়াজ মজুত রয়েছে তাদের কাছে থেকে নিয়ে পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে হবে। পাশাপাশি বাজারের উপরে নজর রাখতে হবে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)