নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ে করেননি। সারা দিনটা কাটত বাড়ির সামনে মুদিখানা দোকান চালিয়েই। ‘পিন্টু দা’ বলতে এক ডাকে সক্কলে চেনেন গ্রামে। গ্রামের কেউ অসুস্থ, কারোর টাকার প্রয়োজন রয়েছে, কানে কথা যাওয়া মাত্রই সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন তিনি। সেই পিন্টু সিনহা আর নেই। পুরুলিয়ার পুঞ্চ থানার পুড়াই গ্রামে এখনও শুধুই বিষণ্ণতা। “আর সময়-অসময়ে লোকটাকে পাব না”- গ্রামের রাস্তার মোড়, কিংবা চায়ের দোকানের আলোচনায় এই কথাটাই লোকমুখে ফিরছে।  বুধবার ভোরে  অজানা  দুই দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহার শরীর।  শত চেষ্টার পরও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিত্সকরা।   পিন্টু নেই-এটা যেমন সত্য, তেমনি তাঁর মত ভালো মানুষকে কেউ কেন খুন করল, তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। উত্তর হাতরাচ্ছে পুলিস। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কানে আসছিল ফিসফিসানি, বেহালায় মন্দিরে পুরোহিতকে যুবতীর সঙ্গে যে অবস্থায় দেখলেন স্থানীয়রা!


বুধবার ভোরে কালিপুজোর বলি দানের মাংস কাটার সময় তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহাকে গুলি করে আততায়ীরা। আহতকে চিকিত্সার জন্য প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান তেকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে, পরে এসএসকেএমে রেফার করা হয় পিন্টুকে। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ১৭ মিনিটে মারা যান ওই তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ধিক্কার মিছিল বের করবে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: দিওয়ালির রাতে ব্যাগ থেকে বার করলেন তুবড়ি, আচমকাই নাক দিয়ে বেরোল রক্ত, তারপর...


এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, “বিজেপির স্থানীয় নেতারা ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের মদতে তৃণমূল কর্মীদের খুন করে এলাকার উন্নয়ন থমকে দিতে চাইছেন। পুরুলিয়া তথা বাংলার মানুষ খুনের রাজনীতি অনেকদিন আগে বর্জন করেছে। আমি আবার পুরুলিয়া যাব। আমাদের পার্টির সব স্তরের নেতা কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পালিয়ে পার পাবে না। শেষ ঠাঁই জেলেই হবে''।